BRICS Shock to Pak on Pahalgam। পহেলগাঁও হামলার নিন্দায় ব্রিকস! চিন ছাড়াও ভারতের বক্তব্যে সহমত ইরান-সৌদি

Spread the love

এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে জারি আছে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা। শুক্রবার ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সংসদীয় ফোরাম এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি। এটা পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ ব্রিকসের অংশ তাদের বন্ধু চিনও। এদিকে এই সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে অনেক মুসলিম দেশ রয়েছে। ফোরামে ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিকসের এই সম্মেলনে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ওম বিড়লা তাঁর ভাষণে বলেন, সন্ত্রাসবাদ আজ একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কটে পরিণত হয়েছে, যা কেবল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে। তিনি চারটি বড় পদক্ষেপের কথা বলেছেন নিজের বক্তব্যে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থায়ন বন্ধ করা, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া আরও মসৃণ করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বাড়ানো। ওম বিড়লার এই কথাগুলি সভায় উপস্থিত সমস্ত দেশ সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে এবং চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করে।

লোকসভা সচিবালয়ের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌথ ঘোষণায় ভারতের পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং ব্রিকসভুক্ত সব দেশের সংসদগুলি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশ্ব বাণিজ্য, আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। ওম বিড়লা একটি ন্যায়সঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ বিশ্ব শৃঙ্খলা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে অংশগ্রহণ এবং গণতান্ত্রিক আলোচনার ক্ষমতায়নের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন সম্মেলমে। তিনি বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বিশ্ব স্থিতিশীলতা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এর জবাবে ভারতীয় সামরিক বাহিনী ৬ ও ৭ মে রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়। ধ্বংস করা হয় ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এসব হামলায় শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হয়। এরপর পাকিস্তানি সেনারা ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করলেও ভারত তাদের প্রতিহত করে। শুধু তাই নয়, ৯-১০ মে রাতে পাকিস্তানের বহু বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। এসব হামলায় পাকিস্তানের ৯টিরও বেশি বিমানও ধ্বংস হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *