দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার সরকারি বাসভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল দুই মাস আগে। সেই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪ মার্চ রাতে দিল্লিতে বিচারপতি বর্মার সরকারি বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রচুর পরিমাণে পোড়া নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আবাসনের স্টোর রুমে আগুন লেগেছিল। সেখানে মদের বোতল থেকে নির্গত দাহ্য গ্যাস সেই আগুনকে আরও ছড়িয়ে দিয়েছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্টোর রুমের মদের আলমারিটি ইলেকট্রিক সুইচ বক্সের খুব কাছেই ছিল। তদন্তকালে সরেজমিন পরিদর্শনেও বিষয়টি নজরে আসে। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘অ্যালকোহল অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ এবং আগুন লাগার সময় বোতলগুলো উত্তাপের কারণে বিস্ফোরিত হয়ে থাকতে পারে। এতে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। দমকলের এক কর্মী তাঁর জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, যেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটে, তার বাঁ দিকে মদের বোতল ছিল। এতে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়।
তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে, বিচারপতি বর্মা ঘটনার সময় শহরের বাইরে ছিলেন এবং তাঁর পরিবার বা ব্যক্তিগত কর্মীদের কারও কাছেই স্টোর রুমের চাবি ছিল না। আগুন লাগার পর নিরাপত্তারক্ষীরা তালা ভাঙেন। তারাই দমকলকর্মী ও পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দেন। এর আগে বিচারপতি বর্মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ফাঁসানোর জন্যেই সেখানে অন্য কেউ নগদ টাকা রেখে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিলেছিল নগদ টাকা। এরপর তা নিয়ে শুরু হয়েছিল তোলপড়। এই আবহে আসন্ন বাদল অধিবেশনেই বিচারপতি যশবন্ত বর্মার অভিশংসন প্রস্তাব আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে গত ২০ মার্চ জাস্টিস বর্মাকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছিল। গত ৫ এপ্রিল শপথ নিলেও এখনও পর্যন্ত তাঁকে বিচারিক দায়িত্ব দেয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হলেও তিনি তা করেননি।