এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলে বৈধ থাকবে না জাতি শংসাপত্র। এক নির্দেশে এমনই জানিয়েছে ছত্তিসগড় হাইকোর্ট। এমনকি ২টি রাজ্যেই তারা তপশিলি উপজাতি হিসাবে তালিকাভুক্ত থাকলেও শংসাপত্র বৈধতা হারাবে। এই রায় দিয়ে বিচারপতি নরেন্দ্র কুমার ব্যাস জানিয়েছেন, কোনও একটি জাতি একটি রাজ্যে পশ্চাদপদ হলে অন্য রাজ্যেও সেই জাতি পশ্চাদপদ রয়েছে এমনটা ধরে নেওয়া যায় না।
নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, ‘কোনও একটি রাজ্যে কোনও জাতি স্বীকৃতি সেখানে তার আর্থসামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। অন্য রাজ্যে কোনও জাতি স্বীকৃতি পাবে কি না তা নির্ভর করে সেই রাজ্যে তাদের পশ্চাদপদতা একই রকম কি না তার ওপর।’
মামলাকারী রাজস্থান থেকে এসে ছত্তিসগড়ে বসবাস শুরু করে। ছত্তিসগড়েও তপশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি। কিন্তু কাস্ট স্ক্রুটিনি কমিটি রিপোর্ট দিয়ে জানায় মামলাকারী নায়েক সম্প্রদায়ভুক্ত। যা ছত্তিসগড়ে তপশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত নয়। এমনকী মামলাকারী ভুয়ো নথি জমা দিয়ে জাতি শংসাপত্র পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেও তদন্তে উঠে আসে। কাস্ট স্ক্রুটিনি কমিটির সেই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে ছত্তিসগড় হাইকোর্ট।