Celina Jaitley Brother Detained। UAE তে আটক সেলিনা জেটলির দাদা! ছিলেন সেনায়.. কোন মামলা চলছে?

Spread the love

বিখ্যাত মডেল তথা অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির দাদা বিক্রান্ত জেটলি সম্প্রতি আটক হন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়ে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর বিক্রান্তের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। দিল্লি হাই কোর্টে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে আবেদন করেছিলেন সেলিনা। অবশেষে হাই কোর্ট এই ব্যাপারে নোটিশ জারি করল বিদেশ মন্ত্রককে। হাই কোর্ট মন্ত্রককে নির্দেশ দেয়, সেলিনা যাতে দ্রুত তাঁর দাদা বিক্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে

প্রসঙ্গত, ৪৩ বছর বয়সি সেলিনা আপনা সপনা মানি মানি, গোলমাল রিটার্নস, নো এন্ট্রি ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেলিনার দাদা ভারতের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তিনি আটক হন। ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে আটক রয়েছেন। অভিযোগ একটি মামলার কারণেই সেখানে রয়েছেন তিনি।

ঠিক কী কারণে আটক তিনি?

সোমবার কেন্দ্রের আইনজীবী নিধি রমন দিল্লি হাইকোর্টকে জানান, বিক্রান্তকে একটি মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশ মন্ত্রক তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে সেলিনা জেটলির ভাইকে যে মামলায় আটক করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। রমন আরও দাবি করেন যে বিক্রান্তকে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিতে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিতে কী করতেন?

প্রসঙ্গত, এই দিন সেলিনা জেটলি আদালতে উপস্থিত ছিলেন । তাদের হয়ে সওয়াল জবাব করেন আইনজীবী রাঘব কাক্কর, ঋভব পান্ডে এবং মাধব আগরওয়াল । পিটিআই সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সেলিনা জেটলির ভাই ২০১৬ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিতে বসবাস করছিলেন। তিনি MATITI গ্রুপে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি ট্রেডিং, পরামর্শ এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পরিষেবার সাথে জড়িত ছিলেন।

কী বলল হাইকোর্ট?

বিচারপতি শচীন দত্তের একটি বেঞ্চ জেটলির আবেদনের শুনানি করে। সেখানে তার ভাইয়ের জন্য আইনি সহায়তা ও তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের আবেদনও করেন সেলিনা। পাশাপাশি তিনি সুস্থ আছেন কি না, তা জানতে নিয়মিত কনস্যুলার অ্যাক্সেসের দাবি করা হয়েছিল। জেটলির দাবি, তাঁর ভাইকে এক বছরের বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে কোনও তথ্যও সরবরাহ করছিল না। পাশাপাশি তাদের মধ্যে ফোন করে কথা বলাও ছিল বন্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *