China Border District cut off from Country। চিন ঘেঁষা জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বাকি দেশ থেকে!

Spread the love

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অরুণাচল প্রদেশ। যার জেরে অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলা গত আট দিন ধরে দেশের বাকি অংশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারত-চিন এবং ভারত-মায়ানমার সীমান্তকে সংযোগকারী ১১৩ নম্বর জাতীয় সড়কের ক্ষেত্রেও বহু জায়গায় ভাঙন ও গর্ত তৈরি হয়েছে। এ কারণে এই রুটটিও ব্যবহারের অনুপযোগী। 

এই মহাসড়কের আড়োয়া-খুপা-হায়লিয়াং অংশের মনপানি অংশেও পরিস্থিতি ভালো নয়। এ কারণে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে চিন সীমান্ত সংলগ্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পৌঁছনোও কঠিন হয়ে পড়েছে। রাস্তা বন্ধ থাকায় দূরের কিবিথু ও ছাগলগাঁওয়ে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

চিন ও মিয়ানমারের সীমান্তের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার কারণে এই দুটি এলাকা কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর লোকজনকে অনেক এলাকায় বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। বিশেষত হায়ুয়াং, হাওয়াই এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে জিনিসপত্রের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় স্থানীয় অনেক মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে যেতে হচ্ছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতে ভ্রমণ এড়াতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে প্রশাসন। এদিকে, এলাকার বিধায়ক তথা নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী দাসাংলু পুল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, মোনাপানিতে কাজ চলছে। এজন্য কর্মকর্তারা পূর্ণ উদ্যমে কাজ করছেন। এছাড়া আটকে পড়া মানুষদের সাহায্যের জন্য হেলিকপ্টার পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে একটি অস্থায়ী রাস্তা অনুমোদন করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হলে এটি ব্যবহার করা যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন এই রুটের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

১১৩ নং জাতীয় সড়ক করিডরের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই জাতীয় সড়কটি শুধু মহাসড়ক নয়, তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এটা একটা লাইফলাইন। আমি জনগণকে শান্তি ও সহযোগিতা বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি। জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *