সোমবার এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে বাংলাদেশের বুকে ১৯ জনের। আহত শতাধিক। বাংলাদেশ বায়ুসেনার বিমান এফ-৭ দুর্ঘটনাগ্রস্ত হতেই পর পর মৃত্যু সংবাদ উঠে আসে। শেষ পাওয়া খবরে মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। বাংলাদেশের বায়ুসেনার যে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তা চিন নির্মিত। চিন নির্মিত এফ ৭ সম্পর্কে কিছু তথ্য দেখে নেওয়া যাক। দিকে দিকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন অনেকে। ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ওই বায়ুসেনা যুদ্ধবিমান আছড়ে পড়তেই বহু জন আহত হয়েছেন। স্বজনহারার কান্না ঢাকার আকাশজুড়ে ধ্বনিত হচ্ছে! এই পরিস্থিতিতে আলোচনায় উঠে এসেছে তিন নির্মিত এফ ৭ বিজিআই বিমান। যে বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার পর মৃত্যু হয় পাইলট তৌকিরেরও।
জানা যাচ্ছে, দুপুর ১.০৬ মিনিট নাগাদ, বাংলাদেশের বায়ুসেনার বিমান এফ ৭ বিজিআই উত্তরণ করে। তার কয়েক মিনিটের মাথায় তা ভেঙে পড়ে। এই বিমান ভেঙে পড়ার কারণ যদিও আপাতত তদন্তাধীন, তবে প্রাথমিকভাবে আইএসপিআর-র তরফে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলা হয়েছে। বিমান ভেঙে পড়ার সময়ই এক বিকট শব্দ শুনতে পান আশপাশের অনেকে। এফ ৭ বিজিআই সম্পর্কে কিছু তথ্য দেখা যাক।বাংলাদেশের পুরনো বিমান বাহিনীর মধ্যে একটি, এফ সেভেন বিজিআই বিমানটি চিনের চেংডু এফ-সেভেন এর একটি আপগ্রেডেড সংস্করণ। এর শিকড় সোভিয়েত যুগের মিগ ২১-এ রয়েছে। চেংডু জে-৭ যুদ্ধবিমানটি ১৯৬৫ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল এবং এখনও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স সহ অনেক বিমান বাহিনীতে ইন্টারসেপ্টর বিমান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মান অনুসারে এই এফ ৭ বিজিআই একেবারেই পুরনো, তবে তার অস্তিত্ব দেখা যায় বাংলাদেশের সেনা বাহিনীতে। এই বিমানের দাম তুলনামূলকভাবে কম বলে উঠে আসছে রিপোর্টে। এছাড়াও হালকা সংঘাতের ক্ষেত্রে ও পাইলট ট্রেনিংর ক্ষেত্রে এর নির্ভরযোগ্যতার একটি সুপরিচিত ইতিহাস রয়েছে। শেষবার এমন বহু বিমান তিন থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়েছে ২০১৩ সালে।

চেংডু জে-৭, যার রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিচিতি এফ-৭ নামেও, এর দীর্ঘ পরিষেবার ইতিহাস রয়েছে যেখানে দুর্ঘটনার কথাও রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে, ইঞ্জিনের ব্যর্থতা, কারিগরি ত্রুটি এবং পাইলটের ত্রুটির সাথে জড়িত অসংখ্য ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে, চিনের হুবেই প্রদেশের শহর জিয়াংইয়াং-এ একটি জে-৭ বিমান একটি আবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়। গত মাসে, ১০ জুন সাফাইং অঞ্চলের পালে শহরে অজানা পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের একটি এএফ চেংডু জে-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।