চিনে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পন-কল্পনা। চিনে আবারও ক্ষমতার পরিবর্তনের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। চিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে এবং তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। চিনা প্রেসিডেন্টের রহস্যজনক ১৬ দিনের ‘অনুপস্থিতিই’ এসব জল্পনার মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২১ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত শি জিনপিংকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। যে কারণে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উত্থানের জল্পনা তৈরি হয়। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শি জিনপিংয়ের হঠাৎ সরকারি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি, সরকারি গণমাধ্যম কাভারেজ এবং উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠক এসব জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে।
এছাড়া চিনা অর্থনীতির সংকট এবং শি জিনপিংয়ের আমলে সর্বোচ্চ বেকারত্বের হারও চিনে ক্ষমতার পালাবদলের জল্পনা-কল্পনাকে উসকে দিয়েছে। এভাবে অনুপস্থিত থাকা অনেক মন্ত্রীকে এরই মধ্যে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চিনের ইতিহাসে এর আগেও শীর্ষ নেতৃত্ব কোণঠাসা হয়েছেন দলের চাপে। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) অতীতে তিনজন বড় নেতার ক্ষমতা হ্রাস করেছিল তাঁরা গদিতে থাকাকালীনই।সূত্র উদ্ধৃত করে সিএনএন-নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্তমানে আসল ক্ষমতা সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান জেনারেল ঝ্যাং ইউক্সিয়ার হাতে রয়েছে। তাঁর প্রতি সিসিপির হু জিনতাও গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমর্থন রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতা ও দলের ওপর শি জিনপিংয়ের আদর্শিক নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়ায় ঝ্যাংকে তাঁর উত্তরসূরি ও ভবিষ্যৎ সংস্কারবাদী নেতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঝ্যাংকে টেকনোক্র্যাট হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

এদিকে আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনও দাবি করেছেন যে জিনপিংয়ের ক্ষমতা খর্ব করছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কোর সদস্যরা সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ভরসা হারিয়ে ফেলছে। এছাড়া চিনের সাধারণ মানুষও সরকারের ওপর তিতি বিরক্ত।