অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে রাজ্য থেকে বের করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের উচ্ছেদের জন্য বিদেশি ট্রাইব্যুনালের ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন হবে না। পরিবর্তে, সরকার এখন সরাসরি অভিবাসী (অসম থেকে বহিষ্কার) আদেশ প্রয়োগ করবে, যা এখনও আইনত বৈধ।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘৬এ ধারা নিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজন নেই। অসমে ইতিমধ্যেই অভিবাসীদের সরাসরি বহিষ্কারের জন্য একটি বৈধ আইন রয়েছে। আমরা প্রথমে এই আইনের প্রভাব বুঝতে পারিনি কারণ আমাদের আইনজীবীরা এ বিষয়ে মনোযোগ দেননি। ১৯৫০ সালের এই আদেশের অধীনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরাসরি আদেশ জারি করে অভিবাসীদের বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখেন।’
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, যেখানে কোনও বিষয় আদালতে বিচারাধীন নেই, সেখানে এখনই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘যে ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া চলছে না, আমরা এখন সরাসরি উচ্ছেদের দিকে যাব। প্রয়োজনে বারবার বহিষ্কার করা হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও স্বীকার করেছেন যে এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) প্রক্রিয়া এবং ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের গতি কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ এবং পুরনো আইনের পুনরাবিষ্কার রাজ্য সরকারকে নতুন পথ দেখাল বলে মত হিমন্তের।

অসমে বর্তমানে ১০০টি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল রয়েছে, যেগুলি ২০০৫ সাল থেকে কাজ করছে। অসম পুলিশের সীমান্ত শাখা যে সকল সন্দেহজনক নাগরিকদের চিহ্নিত করে, তাদের মামলা এই ট্রাইব্যুনালগুলিতে যায়। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে নতুন পদ্ধতিটি ইতিমধ্যে বিচারিক প্রক্রিয়াধীন মামলাগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, তবে কেবলমাত্র সেই মামলাগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে যেখানে কোনও আদালতের কার্যক্রম চলছে না।