CV Ananda Bose। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজভবনের কর্মী

Spread the love

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন রাজভবনের কর্মী। রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোসের(Cv Anand Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্থার অভিযোগ আগেই এনেছিলেন রাজভবনের এক মহিলা কর্মচারী। এবার তিনি গেলেন সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court)। তবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে কিছু রক্ষাকবচ থাকার জন্য় তিনি ন্যায় বিচার পাননি বলে তিনি দাবি করেছেন। এবার সেই ন্য়ায় বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন রাজভবনের কর্মচারী। বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে খবর।

এদিকে একদিকে যখন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের(Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল, তখনই এবার সেই রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন রাজভবনের কর্মী। তিনিই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। এবার গেলেন সুপ্রিম কোর্টে। এবার সেই আইনি লড়াই কতদূর যায় সেটাই দেখার।

তবে রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার পরেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সামনে এনে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই ফুটেজ আদৌ কতটা সত্যকে সামনে এনেছিল সেই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে এবার সেই রাজভবনকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজভবনের কর্মী।

তবে এর আগে রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগকাণ্ডে রাজভবনের কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল কলকাতা পুলিশ।

রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছিল পুলিশ। অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কথা বলার পরে ও সবদিক থেকে খবর সংগ্রহ করার পরেই রাজভবনের তিনজন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল।

পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। গোটা ঘটনায় তিনজন রাজভবন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী তরুণী দাবি করেছিলেন সেই সময় তাকে বোঝানো হয়েছিল যাতে তিনি অভিযোগ দায়ের না করেন। আর তার জেরেই রাজভবনের তিনজন স্টাফের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ।

এদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের মধ্য়েই এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। আবার দিল্লিতে এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছিল তারই বিরুদ্ধে।

একের পর এক অভিযোগ। সূত্রের খবর, দিল্লির সেই পাঁচতারা হোটেলের রুমও বুক করে দিয়েছিলেন রাজ্যপালের এক আত্মীয়। সেবার বঙ্গভবনে উঠেছিলেন রাজ্যপাল। তারপর সেখান থেকে রক্ষী ছাড়়াই তিনি চলে যান ওই হোটেলে। সেখানেই ওই নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। নবান্নে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই শিল্পী। এরপর সেই অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালবাজারে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ডিসি পদমর্যাদার এক অফিসার এনিয়ে প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর নেন। এমনকী যিনি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছিল। অভিযোগের সত্যতা কতটা রয়েছে সেটাও যাচাই করা হয়েছিল। এরপর পুলিশ কমিশনার নবান্নে রিপোর্ট জমা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *