পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। এতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী জঙ্গিদের হয়ে ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা শুরু করেছিল। কিন্তু ভারতের পাল্টা হামলায় বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি পাক বাহিনী। এদিকে ভারতের কাছে আরেকটি হারের পর পুরনো কৌশল অবলম্বন করে পাকিস্তান। নিজেদের পরাজয়কে বিজয় হিসেবে তুলে ধরছে পাকিস্তান। আর এর জন্য নানান দাবি করছে তারা।
সন্ত্রাসের সমার্থক হয়ে ওঠা পাকিস্তানের দাবি, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তারা নাকি তিনটি ভারতীয় রাফাল-সহ পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। তবে এর পক্ষে কোনও প্রমাণ বা তথ্য তারা দিতে পারেনি। এখন রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা পাকিস্তানের দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে।ফরাসি বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসোঁ অ্যাভিয়েশনের সিইও এরিক ট্র্যাপ ভারতের তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এই দাবিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন। ফরাসি ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্র্যাপিয়ার বলেন, ‘ভারতের তিনটি রাফাল ধ্বংস যাওয়ার খবর ভুল। রাফালের সক্ষমতা ও লড়াইয়ের স্থায়িত্বের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
দাসোঁ প্রধান বলেন, রাফাল একটি বহুমুখী বিমান। এটি আকাশ থেকে আকাশে যুদ্ধ, ভূমিতে হামলা, গুপ্তচরবৃত্তি মিশন, পারমাণবিক প্রতিরোধ এবং বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়তে সক্ষম। এরিক ট্র্যাপিয়ার রাফালের তুলনা করে বলেন, এফ-২২ এর মতো স্টেলথ বিমানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এর কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। তবে এফ৩৫-এর তুলনায় রাফাল অনেক বেশি বহুমুখী এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’

চিনের বর্তমান যুদ্ধবিমানের থেকেও রাফাল বেশি সক্ষম বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তান তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে পারবে না।’ এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ কিছুদিন আগে ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, ‘পাকিস্তান তিনটি রাফাল-সহ পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ধ্বংস করেছে।’ এদিকে প্রমাণ চাইলে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতেই তো সব প্রমাণ দেখা যাচ্ছে।এদিকে পাকিস্তান ফাঁকা আওয়াজ দিলেও পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পঙ্গু করে দিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের ৬টি যুদ্ধবিমান, ২টি নজরদারি বিমান, ১টি সি-১৩০ পরিবহণ বিমান, ৩০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং অনেক ড্রোন ধ্বংস করেছে ভারত।