Delhi School Bomb Threat। সাত সকালে রাজধানী দিল্লির ২০র বেশি স্কুলে বোমা হানার হুমকি

Spread the love

শুক্রবার সকালে দিল্লির ২০টিরও বেশি স্কুলে বোমা হামলার হুমকির চিঠি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অফিসাররা। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এবং স্কোয়াডের উপস্থিতিতে তল্লাশি চলছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন অফিসারের মতে, যেসব স্কুল ইমেল পেয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে সিভিল লাইনসের সেন্ট জেভিয়ার্স, পশ্চিম বিহারের রিচমন্ড গ্লোবাল স্কুল, রোহিণীর অভিনব পাবলিক স্কুল এবং রোহিণীর দ্য সোভেরিন স্কুল। যার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বুধবার দিল্লির অন্তত সাতটি স্কুলে বোমা হামলার হুমকির চিঠি পাওয়া গিয়েছিল।

দেশের রাজধানীতে এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিন এই ধরণের হুমকি বার্তা পাওয়া গিয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার সকালে দিল্লির দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – নর্থ ক্যাম্পাসের সেন্ট স্টিফেনস কলেজ এবং দ্বারকার সেন্ট থমাস স্কুলে বোমা হামলার হুমকির চিঠি পাওয়ার পর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। শহরের তিনটি স্কুলে একই ধরণের হানার ভুয়া বার্তা পাওয়ার একদিন পরই এই হুমকি দেওয়া হয়।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (উত্তর) রাজা বান্থিয়া জানান, সকাল ৭:১৫ নাগাদ সেন্ট স্টিফেনস কলেজে ইমেলটি মেলে। এতে দাবি করা হয়েছে যে চারটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং দুটি প্যাকেট আরডিএক্স ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে, যার মধ্যে লাইব্রেরিও রয়েছে, দুপুর ২টোর মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটাবে। পুলিশ জানিয়েছে যে সোমবার আরও তিনটি স্কুলে বোমা হামলার হুমকিও ভুয়া। বুধবার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে দক্ষিণ দিল্লির ১২ বছর বয়সী এক ছেলেকে এই হুমকির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সনাক্ত করা হয়েছে। এক সিনিয়র অফিসার বলেন, “একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ওই ছেলেটি তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ভুয়া ইমেলটি পাঠিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ, পরামর্শ এবং বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। সে আমাদের বলেছে যে এটি একটি প্র্যাঙ্ক ছিল এবং সে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসাধীন।’

দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ নেত্রী আতিশী, দেশের রাজধানীতে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আজ ২০টিরও বেশি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে! ভাবুন তো, শিশু, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা কতটা বেদনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন! দিল্লিতে প্রশাসনের চারটি ইঞ্জিনই বিজেপির দখলে, কিন্তু এখনও আমাদের শিশুদের কোনও নিরাপত্তা বা সুরক্ষা দিতে পারছে না! মর্মান্তিক!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *