দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই বাঙালিদের মধ্যে তা নিয়ে উন্মাদনা চরমে। এদিকে সেই উন্মাদনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে হোটেল মালিক থেকে শুরু করে টোটোচালকরা পর্যটকদের দেদার ‘লুটছেন’ বলে অভিযোগ। বহু জায়গাতেই নাকি হোটেলের ভাড়া ৩ থেকে ৫ গুণ বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রথযাত্রার সময় দিঘায় গিয়ে পর্যটকরা বিপাকে পড়লে কী করবেন?
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, লাগামহীন ভাবে কোনও হোটেল যদি ভাড়া দাবি করে, তাহলে পর্যটকরা নালিশ জানাতে পারবেন সেই হোটেলের বিরুদ্ধে। সেই ক্ষেত্রে হোটেলের লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। এমনকী হোটেলের লাইসেন্সও বাতিল করে দিতে পারে সরকার। হোটেলের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে পর্যটকরা কোথায় অভিযোগ জানাতে পারবেন কোনও হোটেলের বিরুদ্ধে? এই বিষয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, পর্যটকদের সহায়তার জন্য দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে সেখানেই অভিযোগ জানানো যাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার দিঘায় হোটেল মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা প্রশাসন।হোটেল ভাড়া নিয়ে অভিযোগ সামনে আসতেই দিঘার সব হোটেলের সামনে ঝোলাতে বলা হয়েছিল ঘরভাড়ার তালিকা। তবে অভিযোগ, এখনও বহু হোটেল সেই তালিকা টাঙায়নি হোটেলের বাইরে। এই আবহে দিঘার ৪টি হোটেল মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক তথা ডিএসডিএ-র চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু মাজি, দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএসডিএ-র প্রশাসক নীলাঞ্জন মণ্ডল।

সেই বৈঠকেই নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত। হোটেল বুকিংয়ের নিয়ম অমান্য করলে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে সেই হোটেলকে। এছাড়া রুমচার্টের নীচে দেওয়া থাকবে একটি ওয়েবসাইট ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। সেই রেট চার্ট হোটেল মালিক সংগঠন এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদে জমা দিতে হবে প্রতিটি হোটেলকে। চার্টের থেকে কোনও হোটেল অতিরিক্ত ভাড়া চাইলে সেই নম্বরে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন পর্যটকরা।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, বেশ কিছু হোমস্টে দিঘায় রয়েছে যেগুলি কি না এই সব হোটেল সংগঠনের বাইরে। তারা অতিরিক্ত ভাড়া চেয়ে দিঘার পর্যটন শিল্পের বদনাম করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই আবহে ১০ দিনের মধ্যে দিঘার সমস্ত হোটেলের তালিকা সংগ্রহ করবে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।