দলবদলের জল্পনা তৈরি হলেও তাতে জল ঢেলেছেন তিনি নিজেই। তবে এহেন দিলীপ ঘোষকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর সভায় তাঁকে দেখা যায়নি। তার আগে অবশ্য নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তবে দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়েও যে তিনি দল ছাড়ছেন না, এই নিয়ে আজ ফের স্পষ্ট বার্তা দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। গেরুয়া শিবিরের প্রাক্তন সাংসদের কথায়, ‘আমি কি ঘেয়ো কুকুর নাকি যে সকাল-সন্ধ্যা এ বাড়ি, ওই বাড়ি ঘুরে বেড়াব? যারা নিজেরা এই দল, ওই দল ঘুরে বেড়ায়, তারা এই ধরনের প্রচার করে। বিজেপি কর্মীরা বিক্রি হন না। মারলে রাজ্য ছাড়া হতে পারে, কিন্তু ঝান্ডা ছাড়া নয়।’
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের পালটা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপিও। রাজনৈতিক হিংসা প্রয়াত বিজেপি কর্মীদের স্মরণে আজ জেলায় জেলায় কর্মসূচি পালন করছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে নিজের খাস তালুক খড়গপুরে অনুষ্ঠান করছেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে দলবদলের জল্পনার আবহে দিলীপ বলেছিলেন, ২১ জুলাই কোনও না কোনও মঞ্চে তো থাকব। সেই দিলীপ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে থাকছেন। তবে তৃণমূলের নয়, আপাতত বিজেপিরই।

এই আবহে তৃণমূলের শহিদ দিবস পালকে কটাক্ষ করে দিলীপ আজ বলেন, ‘বিজেপি একুশে জুলাই শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা করছে এটা কি কোনও চমক নয়? তৃণমূল তো এতদিন এই দিনটায় নিজেদের একটা বাৎসরিক অনুষ্ঠান করে আসছে। ডিম ভাতের প্রোগ্রাম চলে। আমরা মনে করি, শহিদ তো আমাদের হয়েছে। যে শহিদদের নিয়ে এত নাটক, তারা তো কংগ্রেসের। তৃণমূলের সঙ্গে ওদের কী সম্পর্ক? বিজেপির বহু কর্মী এই বাংলায় রাজনৈতিক লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতেই আজকের সভা। তবে আমার মনে হয় তৃণমূল এবার নিজেরাই শহিদ হয়ে যাবে।’