পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে মধ্যাহ্নভোজে বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিয়ে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জানিয়ে দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার প্রস্তাব দিয়েছেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তাই তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে হোয়াইট হাউজে। এরই মাঝে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প নিজেও।
মুনিরকে হোয়াইট হাউজে ডেকে খাওয়ানো নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আসিম মুনিরকে এখানে আমন্ত্রণে কারণ হল, যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলাম… প্রধানমন্ত্রী মোদী কিছুক্ষণ আগেই চলে গেছেন (কানাডার জি৭ সম্মেলন থেকে) এবং আমরা ভারতের সাথে এবং পাকিস্তানের সাথেও একটি বাণিজ্য চুক্তি করছি… আমি খুব খুশি। দু’জন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তি যুদ্ধ চালিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা দুটি বৃহৎ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। আজ তাঁর (ফিল্ড মার্শাল মুনির) সাথে দেখা করে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’
পশ্চিম এশিয়ায় ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে, এমন এক সময় মুনিরকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই আবহে মনে করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা যুদ্ধে নামলে পাকিস্তানকে কাছে পেতেই হয়ত মুনিরকে হোয়াইট হাউজে ডেকেছেন ট্রাম্প। তবে জানা গিয়েছে, মুখে ট্রাম্প যাই বলুন, একান্তই ‘ব্যক্তিগত স্বার্থে’ মুনিরকে খাওয়ালেন তিনি।

এর আগে ১৪ জুন মার্কিন সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল কংগ্রেস। যদিও পরে হোয়াইট হাউজ স্পষ্ট করে দেয়, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুনিরকে। তবে মুনিরকে এবার লাঞ্চে ডাকলেন ট্রাম্প। এবং সেই লাঞ্চের টিকিট পেতে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার পথে হাঁটলেন মুনির।
এদিকে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘দুর্দান্ত মানুষ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প। এরই সঙ্গে ফের তিনি জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে শীঘ্রই একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে। সঙ্গে ভারত-পাক সংঘাত বন্ধের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যুদ্ধ বন্ধ করেছি … আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি মোদী একজন চমৎকার মানুষ। গতকাল রাতে তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। কিন্তু আমি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করিয়েছি আমিই।’