চলতি বছরের শুরুর দিকে মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড দাবি করেছিলেন, ইরানে কোনও পরমাণু বোমা তৈরি হচ্ছে না। তবে সেই কথায় কান দিতে নারাজ ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সোজা জবাব দেন, ‘আমার কিছু যায় আসে না যে তিনি (তুলসি) কী বলেছেন।’
ইরানের হামলা থেকে ইজরায়েলকে রক্ষার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুত সামরিক বিমান, যুদ্ধজাহাজ ও লোকবল মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ধারাবাহিক কয়েকটি পোস্টে ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ‘ইরানের আকাশ সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণ’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই আবহে চলমান এই সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা এপির মতে, ওয়াশিংটন সরাসরি ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে – বিশেষ করে ফোর্দো সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টটিকে নিশানা করতে পারে আমেরিকা। কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাঙ্কার-বিধ্বংসী জিবিইউ-৫৭ বোমা রয়েছে যা গভীর ভূগর্ভস্থ সাইটে আঘাত হানতে সক্ষম, যা কেবলমাত্র বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমারু বিমানই নিক্ষেপ করতে পারে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অবশ্য কোনও বি-২ বিমান মোতায়েন নেই। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, বোমারু বিমানগুলো মিসৌরির হোয়াইটম্যান বিমান ঘাঁটি থেকেও উড়ে যেতে পারে এই ধরনের মিশনের জন্য। বিমান ও নৌবাহিনী উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। পেন্টাগন রয়েছে সজাগ। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের বিমানের উপস্থিতি বাড়িয়েছে আমেরিকা। সেখানে নীরবেই অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে তারা।
