দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ার গণধর্ষণের ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খুঁজে বের করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ধৃতদের নাম পরিচয় প্রকাশ কনি পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় আরও অভিযুক্ত এখও অধরা। এই আবহে পলাতকদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মোট ৫ জন অভিযুক্ত। এদিকে আজ সকালে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। এর আগে আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বলেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতা তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই পড়ুয়া সহপাঠীদের সঙ্গে কলেজের বাইরে খেতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় কয়েকজন যুবক ওই তরুণীর পথ আটকায় এবং জোর করে হাসপাতালের পিছনের দিকে থাকা একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। এদিকে দুষ্কৃতীদের তাড়া খেয়ে তরুণীর সঙ্গে থাকা বন্ধুটি পালিয়ে যান বলে জানা যায়। এদিকে গণধর্ষণ করার পর ডাক্তারি পড়ুয়ার মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, প্রথমে তিনজন এসে নির্যাতিতার পথ আটকেছিল এবং দুর্ব্যবহার শুরু করেছিল। পরে ঘটনাস্থলে আরও দু’জন আসে। জানা যাচ্ছে, পরে যে দু’জন এসেছিল, তাদের ফোন থেকে নির্যাতিতা নিজের ফোনে কল করেছিলেন। এই আবহে যে ব্যক্তির ফোন থেকে নির্যাতিতা নিজের নম্বরে ফোন করেছিলেন, সেই ব্যক্তিকে প্রথমে জেরা করে পুলিশ। তার থেকেই বাকি অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে জঙ্গলের ভিতরে সাইকেল-বাইক নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ড্রোন উড়িয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে।

এদিকে ঘটনায় নির্যাতিতার সহপাঠীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। অভিযোগ, ওই বন্ধুই তাঁকে বাইরে যেতে বাধ্য় করেছিলেন। অভিযুক্ত এই সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জেরা। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণীকে যখন অভিযুক্তরা ঘিরে ফেলে, সেই সময় তাঁকে সেখানে রেখেই পালিয়ে যায় ওই সহপাঠী। এই আবহে সেই সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।