লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের(Kolkata Highcourt) দ্বারস্থ হলেন আরও এক বিজেপি প্রার্থী। ভোট বাতিলের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগড়। এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী মিতালী বাগ(Mitali Bag)। তবে বিজেপি প্রার্থীর দাবি, নির্বাচনে কারচুপি করে জয়ী হয়েছেন মিতালী। তাই ভোট বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আরামবাগ কেন্দ্রে ভোট গণনা হয়েছিল গত ২০ এপ্রিল। এই কেন্দ্রে ভোটদানের হার ছিল ৭৯.৫০ শতাংশ। তাতে অরূপকান্তি পেয়েছিলেন ৭ লক্ষ ৬ হাজার ১৮৮ টি ভোট এবং মিতালী পেয়েছিলেন ৭ লক্ষ ১২ হাজার ৫৮৭ টি ভোট। অর্থাৎ ৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন মিতালী বাগ। তবে বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূল কারচুপি করার কারণেই তিনি পরাজিত হয়েছেন। এই অবস্থায় নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
বসিরহাটের প্রার্থী রেখা পত্রের অভিযোগ ছিল, তৃণমূল সাংসদ হাজী নুরুলের হলফনামায় ত্রুটি ছিল। উল্লেখ্য, বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা দেবাশিস ধর। তবে তার মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়। রেখার দাবি যদি তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় তাহলে একইভাবে নুরুলের মনোনয়নও বাতিল হওয়া প্রয়োজন। তাই তাঁর নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন রেখা।
কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ নিশীথের দাবি, কোচবিহারের একাধিক গণনা কেন্দ্রে ইভিএম বদল করা হয়েছে। ৮ শতাংশ বুথে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। শুধু তাই নয় সংখ্যালঘু এলাকাতে এক একজন একাধিবার ভোট দিয়েছেন। ফলে কোনওভাবেই ভোটের এরকম ফলাফল হতে পারেনা। ভোটের সঠিক ফল জানার জন্য তিনি যতদূর যাওয়ার যাবেন।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়, বসিরহাটের রেখা পাত্র এবং কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক। একইভাবে তারাও নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে ইলেকশন পিটিশন করেছেন। গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রমাণিক। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, বিজেপি ঘাটাল, কোচবিহার, বসিরহাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গার লোকসভা ভোটের ফলাফলে সন্তুষ্ট নয়। সেই কারণে তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে।