মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থেকে ইলন মাস্ক হয়ে উঠেছেন তাঁর পয়লা নম্বর ‘শত্রু’। দুজনের মতভেদ প্রকাশ্যে আসার পর এবার ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের (ইমপিচমেন্ট) দাবি করেছেন। এর পাশাপাশি ট্রাম্পের পরিবর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এরই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ জনমত সংগ্রহ করেন ইলন মাস্ক। সেখানে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, আমেরিকায় তৃতীয় কোনও রাজনৈতিক দল খোলার সময় এসেছে কি না। সেই পোলের ফলাফল সামনে আসতেই বড় ইঙ্গিত মাস্কের। উল্লেখ্য, ইলন মাস্কে নয়া রাজনৈতিক দল সংক্রান্ত প্রশ্নে ৮০.৪ শতাংশ মানুষ বলেছেন, আমেরিকায় নয়া দলের প্রয়োজন আছে।
সেই পোলের ফলাফল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘মানুষ নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। আমেরিকায় একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে যারা সমাজের ৮০ শতাংশ মধ্যবিত্তের প্রতিনিধিত্ব করবে। এবং নয়া দলের পক্ষে মত দিয়েছেন ৮০ শতাংশ মানুষ। এটাই ভাগ্য।’ ২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের পরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। তবে সেই সময় সেই চর্চা ছিল ইতিবাচক। মাস্ককে ডিইওজিই-র প্রধান করেন ট্রাম্প। তবে কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাঁদের বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর আইন নিয়ে দুজনের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে।

সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে থেকেই মাস্ক ‘বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর সমালোচনা করে আসছিলেন। এই আবহে গত ৫ জুন দুজনের মধ্যে সংঘাত চরমে ওঠে। একদিকে ট্রাম্প দাবি করেন, সরকারি খরচ কমাতে ইলন মাস্কের সংস্থাকে দেওয়া ভর্তুকির বিষয় পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। পালটা মাস্ক দাবি করেন, তিনি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনেই জিততেন না। এরই মাঝে এবার আমেরিকায় বিকল্প রাজনৈতিক দল খোলার বিষয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছেন মাস্ক।