২০১১-১২ সালে ভারতে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালে সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৩ শতাংশে। এমনটাই জানানো হয়েছে বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে। ভারতে ৭৫.২৪ মিলিয়ন মানুষ অতি দারিদ্র্য সীমার নীচে আছে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের দৌলতে ভারতে অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে। এদিকে পড়শি বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্যের হার ৭.৭% থেকে বেড়ে ৯.৩% হতে পারে বলে এপ্রিলে জানিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক।
এদিকে বিগত দিনে পাকিস্তান প্রায়ই ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই পরমাণু শক্তিধর দেশই দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে। এমনই মনে করা হচ্ছে বিশ্বব্যাঙ্কের এক রিপোর্টে। পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক।
বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের ৪৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের সমীক্ষার ভিত্তিতে এই কথা বলেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যসীমা থেকে জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের সংখ্যা গত কয়েক বছরে ৪.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৬.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাঙ্ক বৈশ্বিক দারিদ্র্য সূচকে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি। এর কারণ হল, গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে কোনও প্রবৃদ্ধি হয়নি। বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে, দৈনিক ৩ ডলার আয়ের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়। পাকিস্তানে ৪৫ শতাংশ মানুষ আছে যারা দিনে তিন ডলারও আয় করে না। এর আগে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সূচকের মান ছিল ২.১৫ ডলার, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ ডলারে।
এর আগে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য মাথাপিছু আয়ের হার ২.১৫ ডলার নির্ধারণ করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। সে সময় পাকিস্তানের ৪.৯ শতাংশ মানুষ অতি দরিদ্র বলে মনে করা হত। এখন এই স্ট্যান্ডার্ড বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৩ ডলারে। তাই এখন পাকিস্তানে অতিদরিদ্রের হার বেড়ে ১৬.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। পাকিস্তান দারিদ্র্যের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মানেও পিছিয়ে রয়েছে।