সচরাচর যে কাজটা করে না, সেটা করেই পাকিস্তানের টেনশন বাড়াল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। সোমবার এফএটিএফের তরফে কড়া ভাষায় পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করা হয়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সচরাচর জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বিবৃতি জারি করে না এফএটিএফ। শেষ ১০ বছরে মাত্র তিনবার সেই কাজটা করল।
একেবারে কড়া ভাষায় পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগানের উপরে নজরদারি চালানো আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গি হামলায় (মানুষকে) হত্যা করা হয়, বিশ্বকে পঙ্গু করে দেওয়া হয় এবং বিশ্বজুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে মদত জোগানো হয়। ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছে, তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এফএটিএফ। আর সেটার নিন্দা করছে।’ এফএটিএফের তরফে বলা হয়েছে, ‘অর্থ এবং জঙ্গিদের মদত জোগানো লোকদের মধ্যে অর্থের জোগান ছাড়া এই হামলা এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অন্যান্য জঙ্গি হামলা চালানো সম্ভব ছিল না।’ সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান রুখতে বিভিন্ন দেশ কী পদক্ষেপ করছে, তার কার্যকারিতাও খতিয়ে দেখার উপরে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

আর এফএটিএফের তরফে যে সময় সেই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্রের খবর, পাকিস্তান যে লাগাতার সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাচ্ছে এবং অর্থের জোগান দিচ্ছে, তা বারবার তুলে ধরেছে ভারত। আর তার ফলস্বরূপ পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় রাখার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সেটাই যদি হয়, তাহলে এমনিকে আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে যাবে। এমনিতে আগামী ২৫ অগস্ট এফএটিএফের এশিয়া প্যাসিফিক গোষ্ঠীর বৈঠক আছে। তারপর আগামী ২০ অক্টোবর এফটিএফের পরবর্তী প্লেনারি সেশন হবে। সূত্রের খবর, সেইসব বৈঠকের আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নথিপত্র তৈরি করছে ভারত। যে নথির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে যে কীভাবে এফএটিএফের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে পাকিস্তান।