Father on RG Kar Doctor’s last rites। ‘মেয়ে ভেবেছে, বাপি কটা টাকাও দিতে পারল না’

Spread the love

অভিশপ্ত রাতে তাঁর থেকে শ্মশানের কোনও খরচ নেওয়া হয়নি। মেয়ের দেহের সৎকারের খরচ ‘ফ্রি’ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুললেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) বাবা। আর সেই বিষয়টা চিরকাল যে তাঁর জীবনে দগদগে ঘা হয়ে থেকে যাবে, সেটা বুঝিয়ে দিলেন। পুরোপুরি ভেঙে পড়লেন। একরাশ হতাশা এবং রাগের মধ্যেই তিনি বলেন, তরুণী চিকিৎসকের দেহ দাহ করার জন্য তাঁদের উপরে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। ‘এখানেও একটা প্রশ্ন। আমার মেয়ে সেদিন মারা গিয়েছে। আমার মেয়ের শ্মশানের খরচটা ফ্রি করে দিয়েছে। কারা? আমরা জানতে পারিনি আজ পর্যন্ত। কেন করা হয়েছে? আমার মেয়ের আত্মা খুব কষ্ট পেয়েছে। যাওয়ার সময় ভেবেছে যে আমার বাপি এইটুকু টাকা খরচ করতে পারল না। আমার কাছে কী মর্মান্তিক ছিল সেই দিনটা। এই প্রশ্নের উত্তরটা কে দেবে?’

মেয়ের ‘জাস্টিস’ চেয়ে পথে পুরো রাজ্য, RG করে বাবা-মা

তরুণী চিকিৎসকের বাবা সেই ক্ষোভ উগরে দেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এসে। তরুণী চিকিৎসকের জন্য ‘বিচার’ চেয়ে বুধবার (বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল বলে ৪ সেপ্টেম্বর বেছে নেওয়া হয়, যদিও শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে) বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয় জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের তরফে। 

জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বানেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ রাত ন’টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, মশাল জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন। আরজি কর হাসপাতালে আসেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। সঙ্গে ছিলেন তরুণীর কাকিমাও। সেখানেই তাঁরা পুলিশ, প্রশাসন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। বিশেষত তরুণীর দেহ সৎকারের ক্ষেত্রে তাঁরা বাধ্য হয়েছিলেন বলে উষ্মাপ্রকাশ করেন বাবা। 

‘৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী আমাদের ঘিরে রেখেছিল’

তিনি আরও বলেন, ‘৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী আমাদের ঘিরে রেখে সেখানে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যে বাধ্য হয়ে আমরা বাড়িতে ফিরে যাই। বাড়িতে গিয়ে দেখি যে আমার বাড়ির সামনে ব্যারিকেড করে ৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী দাঁড়িয়ে আছেন। সেই অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার ছিল না। আমরা মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হই।’  

‘আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম’

তরুণী চিকিৎসকের বাবা অভিযোগ করেন, গত ৯ অগস্ট (যেদিন তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল) তাঁদের উপরে এতটাই চাপ তৈরি করা হয়েছিল যে তাঁরা বাধ্য হয়ে মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপরে এত প্রেশার তৈরি করা হয়েছিল….। আমরা টালা থানায় গিয়েছিলাম। টালা থানায় আমরা এক ঘণ্টা বসেছিলাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *