সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকাণ্ডে ২০১৭ সালে গোটা বেঙ্গালুরুতে উদ্বেগের রেশ ছড়ায়। সাংবাদিককে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে পালায় দুই দুষ্কৃতী। এরপর শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে সাক্ষী হিসাবে উঠে আসেন ব্যবসায়ী মাদেতিরা থিম্মাইয়াহ। তাঁর নয়া বয়ানেই এই মামলায় নতুন অধ্যায় যোগ করেছে।
৪৬ বছর বয়সী থিম্মাইয়াহ কোদাগারু জেলার বাসিন্দা। তাঁর দাবি ছিল, এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজেশ বাঙ্গেরা সহ ৪ জনকে তিনি তাঁর অফিস ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। অফিসে বাকি দুজনের সঙ্গে রাজেশ কিছু আলোচনা করেছিলেন। তবে তবে সদ্য স্পেশ্যাল কোর্টে থিম্মাইয়াহ দাবি করেছেন, সিট টিমের পুলিশ তাঁকে স্বীকারোক্তির বয়ান দিতে দোর করে বাধ্য করেছে। এই বক্তব্যের সঙ্গেই গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে কার্যত নয়া মোড় দেখা দিয়েছে।
এরপর ২০২৪ সালে কর্ণাটক কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড অ্যাক্টের আওতায় স্পেশ্যাল কোর্টে থিম্মাইয়াহ দাবি করেছেন, স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিমের পুলিশ তাঁকে জোর করে স্বীকারোক্তি নিয়েছে। ২০১৮ সালে প্যালেস রোডে সিআইডি হেডকোয়াটার্সে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। তিনি জানান, বেঙ্গালুরুতে তাঁকে ২ দিন থাকতে বলা হয়। তাঁকে জেরায় বাঙ্গেরার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁরা থিম্মাইয়াহর চিরুনি আর টুথব্রাশ বাজেয়াপ্ত করেন বলে অভিযোগ। থিম্মাইয়াহর দাবি, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। হুমকিতে তাঁকে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছিল বলে দাবি থিম্মাইহার।
কর্ণাটকের মাদিকেরিতে রয়েছে থিম্মাইয়াহর অফিস। তাঁর দাবি, ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি বাঙ্গেরাকে চেনেন। রাজেশের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের অমিত দিগভেকার, মোহন নায়েক, বীরেন্দ্র তাওড়ের যোগ ছিল বলে আগে দাবি করেছেন থিম্মাইয়াহ। এই ৩ জনকে নিয়ে বাঙ্গেরা থিম্মাইয়াহর অফিসে আসেন। সেই সময় থিম্মাইয়াহকে জানানো হয়, তাঁদের কোনও কাজের জন্য ওই অফিস দরকার। পরে থিম্মাইয়াহকে রাজেশ জানান যে, তাঁর অফিসের চাবি রাজেশের সঙ্গে রয়েছে। আর থিম্মাইয়াহকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাজেশ চলে যান।