Gopichand Hinduja। হিন্দুজা গ্রুপের চেয়ারম্যান গোপীচাঁদ হিন্দুজার জীবনাবসান

Spread the love

ভারতীয়-ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার এবং হিন্দুজা গ্রুপের চেয়ারম্যান গোপীচাঁদ পরমানন্দ হিন্দুজা ৮৫ বছর বয়সে মারা গেছেন, মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন টোরি পিয়ার রামি রেঞ্জার। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য রেঞ্জার এক বিবৃতিতে আন্তরিক শোক প্রকাশ করেছেন। হিন্দুজাকে ‘সবচেয়ে দয়ালু, নম্র ও বিশ্বস্ত বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই আইনপ্রণেতা বলেন, এই মৃত্যু একটি যুগের সমাপ্তি চিহ্নিত করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রিয় বন্ধুরা, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি আমাদের প্রিয় বন্ধু মিঃ জি পি হিন্দুজার মর্মান্তিক প্রয়াণের কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি, যিনি তাঁর স্বর্গীয় আবাসে চলে গেছেন। তিনি ছিলেন সবচেয়ে দয়ালু, নম্র এবং বিশ্বস্ত বন্ধুদের মধ্যে একজন। তাঁর প্রয়াণ একটি যুগের সমাপ্তি চিহ্নিত করে, কারণ তিনি সত্যই সম্প্রদায়ের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং পথপ্রদর্শক ছিলেন।’ তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন,’ আমি তাঁকে বহু বছর ধরে জানার সুযোগ পেয়েছিলাম, তাঁর গুণাবলী অনন্য ছিল – একটি অসাধারণ রসবোধ, সম্প্রদায় এবং দেশ, ভারতের প্রতি প্রতিশ্রুতি – এবং তিনি সর্বদা ভাল কারণগুলিকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি পিছনে একটি বিশাল শূন্যতা রেখে গেছেন যা পূরণ করা কঠিন হবে। তিনি স্বর্গে শান্তিতে বিশ্রাম নিচ্ছেন। ওম শান্তি।’

কে এই গোপীচাঁদ হিন্দুজা?

ইউকে সানডে টাইমস রিচ লিস্ট অনুসারে জিপি হিন্দুজা টানা সাত বছর ধরে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৪০ সালে ভারতে জন্মগ্রহণকারী তিনি হিন্দুজা অটোমোটিভ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং ডিমেনশিয়া থেকে তার ভাই শ্রীচাঁদ হিন্দুজার মৃত্যুর পরে ২০২৩ সালে গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। গোপীচাঁদ হিন্দুজা ১৯৫৯ সালে মুম্বাইয়ের জয় হিন্দ কলেজ থেকে স্নাতক হন এবং ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ ল ডিগ্রিও অর্জন করেন। লন্ডনের রিচমন্ড কলেজ তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ইকোনমিক্সে ভূষিত করে। হিন্দুজা পারিবারিক ব্যবসা প্রাথমিকভাবে জিপি হিন্দুজার বাবা পরমানন্দ হিন্দুজা ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গোপীচাঁদ হিন্দুজা এবং তাঁর ভাই শ্রীচাঁদ হিন্দুজা ব্যবসাটি গ্রহণ করেছিলেন, যা প্রাথমিকভাবে একটি বাণিজ্য সংস্থা ছিল এবং এটিকে বর্তমানে বহু বিলিয়ন ডলারের গোষ্ঠীতে রূপান্তরিত করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *