গুজরাটের এক মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বুধবার গুজরাটের গম্ভীরা সেতু ভেঙে পড়েছে। এর জেরে মহিসাগর নদীতে বেশ কয়েকটি যানবাহন পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে আনন্দ এবং ভদোদরা জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গুজরাটের মন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল বলেন, ‘ভদোদরা জেলায় সেতু ধসে তিনজনের (পরে জানা যায় অন্তত ৯ জনের) মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আনন্দ ও ভদোদরার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে, যার ফলে রাস্তায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ১৯৮৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয় এবং প্রয়োজনে পর্যায়ক্রমে এর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্যাটেল। সেতু ভেঙে পড়ার দৃশ্যে দেখা গেছে যে দুটি পিয়ারের মধ্যে সেতুর পুরো একটি স্ল্যাব ধসে পড়েছে।বুধবার সকালে গুজরাটের মহিসাগর জেলায় একটি সেতুর একাংশ নদীতে পড়ে অন্তত চারটি গাড়ি নদীতে পড়ে যায়। পাদ্রার পুলিশ ইন্সপেক্টর বিজয় চরণ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযান চলছে। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রাজ্য সড়কের পাশে মহিসাগর নদীর উপর তৈরি গম্ভীরা সেতুটি ভেঙে পড়ে।
এই বিষয়ে পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মহিসাগর নদীর উপর সেতুর একাংশ ভেঙে পড়লে চারটি গাড়ি নদীতে পড়ে যায়। নদীতে পড়ে যাওয়া গাড়িগুলির মধ্যে দুটি ট্রাক ও দুটি ভ্যান ছিল। আমরা এখন পর্যন্ত চারজনকে উদ্ধার করেছি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেতু ভেঙে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ভদোদরা দমকল বিভাগের দল এবং স্থানীয় বাসিন্দারা সক্রিয়ভাবে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। এছাড়া জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দলকে উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ভেঙে পড়া কাঠামোটি ৯০০ মিটার দীর্ঘ গম্ভীরা সেতুর মাঝামাঝি অংশের। এই সেতুতে ২৩টি পিয়ার রয়েছে এবং এটি ভদোদরা ও আনন্দ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। ১৯৮৫ সালে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।