ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট রবিবার মধ্যরাতে যে ইতিহাস লিখেছে, সেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের মুহূর্তের রেশ এখনও দেশ জুড়ে রয়েছে। আর সেই বিশ্বকাপকে জড়িয়ে সোমবার বেলা গড়াতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে দেন এক জোরালো বার্তা। সেখানে তাঁকে একটি পোশাক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে, যে পোশাকের পিঠের দিকে লেখা রয়েছে ‘ক্রিকেট হল সকলের খেলা (মাঝের লাইনে ‘ এ জেন্টলম্য়ানস’ কথাটি কাটা রয়েছে)।’
এই ছবির নিচে হরমন একটি বার্তা লেখেন। সেখানে লেখা ছিল,’ কিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের ভাগ করে নেন। এই কারণেই ক্রিকেট সবার খেলা।’ ১৯৮৯ সালের ৮ মার্চ পঞ্জাবের মোগায় জন্ম হরমনের। সেখান থেকে বহু লড়াকু পথ পেরিয়ে দেশের মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক হয়ে উঠেছেন হরমন। তিনি কোন কোন ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডর? তাঁর সম্পত্তির অঙ্ক কত?
‘আজতক’-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে হরমনপ্রীতের সম্পত্তির অঙ্ক মোট ২৫ কোটি টাকা ছিল। রিপোর্ট বলছে, হরমনপ্রীতের ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে খেলা ও ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টে থেকে আসা তাঁর মোট অর্থ এই অঙ্কের মধ্যে রয়েছে। উল্লেখ্য, টিম ইন্ডিয়ার পাশাপাশি তিনি WPL-এও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সদস্য। রিপোর্ট বলছে, বিসিসিআই-র সঙ্গে হরমনের A ক্যাটেগোরি-র চুক্তি রয়েছে। এরফলে হরমন প্রতি বছর ৫০ লাখ টাকার অঙ্ক পান। এই কনট্র্যাক্টেের হাত ধরে একটি টেস্টের জন্য হরমন মহিলা ক্যাপ্টেন হিসাবে পান ১৫ লাখ টাকা। একটি ওয়ান ডে-র জন্য ৬ লাখ টাকা তিন পান। এছাড়াও এই কনট্র্যাক্টেের হাত ধরে ৩ লাখ টাকা পাওয়া যায় টি২০র একটি ম্যাচ খেললে। WPL-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসাবে হরমন এক সিজনে ১.৮০ কোটি টাকা বেতন পান, বলে দাবি রিপোর্টের। ওই মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, কমার্শিয়াল শুটে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা পান হরমন। বহু বিদেশি লিগও তিনি খেলেছেন। এই পর্যন্ত যে সমস্ত বিজ্ঞপনে তাঁকে দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে HDFC Life, ITC, Boost, CEAT, PUMA, TATA Safari, Asian Paints, Jaipur Rugs, The Omaxe Stateর মতো ব্র্যান্ড। ‘আজতক’র রিপোর্ট বলছে, হরমনের একটি বাংলো রয়েছে মুম্বইতে। আরও একটি বাংলো রয়েছে পঞ্জাবের পাতিয়ালায়। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ২০১৩ সালে তিনি মুম্বইয়ের বাংলোটি কেনেন। তবে পরিবারের সঙ্গে হরমন পাতিয়ালার বাড়িতেই থাকেন।
