আইএআইএম ধর্ষণ কাণ্ডে ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা। কারণ, তৃতীয় দিনেও গোপন জবানবন্দি দিতে এলেন না অভিযোগকারী নির্যাতিতা। এর আগে সোমবার এবং মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে নির্যাতিতা তরুণীর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার দিন নির্ধারিত হয়েছিল। তবে সেই দু’দিন তিনি যাননি আদালতে। এই আবহে শুক্রবার ফের গোপন জবানবন্দির দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সেদিনও আদালতে গেলেন না তিনি।
এদিকে নির্যাতিতা বারবার গোপন জবানবন্দি এড়িয়ে যাওয়ায় আইআইএমে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ধোয়াঁশা তৈরি হয়েছে। এদিকে আজ, শনিবার অভিযুক্ত পড়ুয়ার পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পুলিশ আদালতে পেশ করবে সেই অভিযুক্ত পড়ুয়াকে। এর আগে অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করে পুলিশ দাবি করেছিল, সে নাকি ‘প্রভাবশালী’।উল্লেখ্য, কসবা গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই আইআইএম কলকাতায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, কলেজের বয়েজ হস্টেলে ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াকে এরপর পুলিশ গ্রেফতারও করে। তবে অভিযোগকারীর বাবা দাবি করেন, মেয়ে ধর্ষণের শিকার হননি। যা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়।

এদিকে এর আগে পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা দাবি করেছিলেন, ক্যাম্পাসিংয়ের নাম করে তাঁকে ডেকেছিল সেই অভিযুক্ত। এরপর ‘অন্য কাজের’ বাহানায় তাঁকে বয়েজ হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে খাবার খেতে দেওয়া হয়েছিল। তা খেয়েই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন সেই তরুণী।নির্যাতিতার অভিযোগ, আচ্ছন্ন অবস্থাতেই তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল সেই পড়ুয়া। তাঁকে ধর্ষণ করে সে। পরে জ্ঞান ফিরলে সেই তরুণী দেখেন তিনি বয়েজ হস্টেলে। এই আবহে থানায় গিয়ে সেই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নিরাপত্তারক্ষী ও কলেজের অন্যান্য কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে।