মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা প্রদেশে স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে বন্দুকধারীর গুলিতে একজন নারী আইনপ্রণেতা ও তাঁর স্বামী নিহত হয়েছেন। একই বন্দুকধারীর হামলায় আরও একজন আইনপ্রণেতা ও তাঁর স্ত্রী গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই হামলাটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছেন মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ।জানা গিয়েছে, সেই বন্দুকবাজের গাড়ি থেকে একটি ‘তালিকা’ পেয়েছে পুলিশ। তাতে গভর্নর টিম ওয়ালজ থেকে শুরু করে মার্কিন স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ ইলহান ওমরেরও নাম রয়েছে। এই ইলহান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য। তিনি এর আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় তিনি ভারতকে নীচু দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি এর আগে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে রেজোলিউনশন এনেছিলেন এবং সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পাটিকুলার কনসার্ন’ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও ভারত বিরোধী প্রতিবাদকে তিনি বরাবর সমর্থন করেছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে অপ্রমাণিত অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
এদিকে দুই হামলার পরে অভিযুক্ত বন্দুকবাজ পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন বন্দুককারী প্রথমে হফম্যান দম্পতিকে গুলি করে। সেই ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে হর্টম্যান দম্পতির বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটানো হয়। অভিযুক্তকে ধরতে বড় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মিনেসোটার ভয়াবহ গুলির ঘটনা সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে। মনে হয়, আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিশানা করা হচ্ছে।’

জানা গিয়েছে, এই হামলায় নিহত আইনপ্রণেতার নাম মেলিসা হর্টম্যান। তিনি ডেমোক্র্যাট ছিলেন। তিনি মিনেসোটার প্রাক্তন স্পিকার ছিলেন। বর্তমানে তিনি মিনেসোটার স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ (ডেমোক্র্যাট – ব্রুকলিন পার্ক) ছিলেন। হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্বামী মার্ক। জানা গিয়েছে, নিজেদের বাড়িতেই হামলার শিকার হন মেলিসা এবং মার্ক। হামলাকারী পুলিশের পোশাকে এসে এই হামলা চালিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।এদিকে নিজেদের বাড়িতে একই ধরনের হামলায় গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন সেনেটর জন হফম্যান (ডেমোক্র্যাট – চ্যাম্পলিন) ও তাঁর স্ত্রী ইভেট। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অস্ত্রোপচার হয়েছে। এই হামলার সময় হফম্যানের কুকুরের ওপরও গুলি চালানো হয়েছিল বলে জানা যায়। পরে মিনেসোটার গভর্নর জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী যে হফম্যান দম্পতিকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে।