India-Bangladesh Border Update। শীতলকুচির বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অ্যাকশন’ BSF-র

Spread the love

সম্প্রতি সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। তারপর থেকেই ভারতে অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতাবির সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও, বারবার সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে চলেছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। সেই চেষ্টাকেই রুখে দিচ্ছে বিএসএফ। এবার ফের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। কিন্তু, এই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল বিএসএফ। শনিবার সকালে কোচবিহারের শীতলকুচি সীমান্ত হয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীতলকুচি ব্লকের রাজারবাড়ি সীমান্তে তিনজন বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে তাদের নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে দেয় বিএসএফ। ওই তিনজনের মধ্যে দুজন হল মহিলা ও একজন পুরুষ। তিলক বর্ডার আউটপোস্টের ২৪ নম্বর গেট দিয়ে ভারতের দিকে ঢোকার চেষ্টা করছিল তারা। সেইসময় বিএসএফের ১৫৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাদের আটকে ফেলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবি তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়নি। ফলে তারা এখনও দুই দেশের মাঝখানের নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে রয়েছে।

এই ঘটনার জেরে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সীমান্তবর্তী কৃষিজমিতে যাওয়া বারণ করা হয়েছে। নিয়মিত এমন পরিস্থিতির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন। রাজারবাড়ির বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘সীমান্তে বারবার এমন ঘটনা ঘটলে আমরা কোথায় যাব? আজ জমিতে যেতেও বারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশিরা যেন তাদের দেশে ফিরে যায়, সেটাই চাই।’

উল্লেখ্য, এই ঘটনার মাত্র দু’দিন আগেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল শীতলকুচিরই গাদোপোঁতা সীমান্তে। সেখানে পাঁচজন বাংলাদেশি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা তাদের তৎক্ষণাৎ পাকড়াও করে।

প্রসঙ্গত, ৯ জুন ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালানো তিন বাংলাদেশিকে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ এবং ধানবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই তিনজনই অনুপ্রবেশকারী এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুধু গত এক সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তে একাধিক অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা রোখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *