ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স থেকে সরা দাঁড়িয়েছে আম আদমি পার্টি। এমনই ঘোষণ করলেন সেই দলের সাংসদ সঞ্জয় সিং। দিল্লি এবং পঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও বিজেপি বিরোধিতার জন্য ইন্ডিয়া ব্লকে যোগ দিয়েছিল আপ। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে তাতেও সম্পর্কের উন্নতি ঘটেনি।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সকে (এনডিএ) প্রতিহত করতে মাত্র দু’বছর আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ইন্ডিয়া ব্লক গঠন করা হয়েছিল। আজ ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠক হওয়ার কথা বাদল অধিবেশনের আগে। সেই বৈঠকের ঠিক একদিন আগে আপ জানাল, তারা ইন্ডিয়া ব্লকে নেই।
রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং নিজের বাসভবনে ঘোষণা করেন, ইন্ডিয়া ব্লকের অংশ নয় আপ। আপের এই সিদ্ধান্তের জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন। তিনি আরও বলেন, আগের বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচনের মতো আপও আসন্ন বিহার নির্বাচনে একাই লড়াই করবে।এই নিয়ে সঞ্জয় সিং বলেন, ‘আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোটের অংশ নয়। যদিও আমরা সংসদে জনসাধারণের ইস্যুগুলি জোরালোভাবে উত্থাপন করতে থাকব। যখনই আমরা বিশ্বাস করব যে সরকার ভুল করছে, তখনই বিরোধিতা করব। আমরা সবসময় শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি এবং তা অব্যাহত রাখব।

সঞ্জয় সিং বলেন, ২০২৪ সালের পর কংগ্রেস বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনে ইন্ডিয়া ব্লক ২৩৪টি আসন জিতেছিল। এর ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন আসন পেয়েছিল বিজেপি। যদিও বিজেপি এখনও লোকসভায় একক বৃহত্তম দল। এই আবহে সঞ্জয়ের বক্তব্য, ‘ইন্ডিয়া ব্লক তাদের অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেয়নি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে কোনও বৈঠকও করেনি। জোটের সবচেয়ে বড় দল কংগ্রেস। কিন্তু দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে কি ভূমিকা রেখেছে তারা?’২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, গোয়া ও চণ্ডীগড়ে একসঙ্গে লড়েছিল আপ ও কংগ্রেস। তবে, ২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পৃথকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল আপ এবং কংগ্রেস। সেই ভোটের প্রচারের সময় দুই দলের নেতারাই একে অপরকে আক্রমণ করেছিলেন। এদিকে আম আদমি পার্টির মতো জাতীয় দল ইন্ডিয়া ব্লক ছাড়ায় বিরোধী জোট দুর্বল হবে কি না, সেদিকে নজর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।