ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্য পৌঁছানোর কাছাকাছি দুই দেশ। এক শীর্ষ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করা হল এনডিটিভির রিপোর্টে। সেই আধিকারিক আরও বলেন, কৃষি পণ্যের উপর ওয়াশিংটনের দাবি এই চুক্তির জন্য একটি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার ইন্দো-আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্সের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য সুনীল জৈন এনডিটিভির সাথে কথা বলেছেন। এর একদিন আগেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছিলেন, বাণিজ্য আলোচনায় কৃষি ও দুগ্ধ শিল্প ভারতের জন্য একটা ‘বড় লাল রেখা’। এই আবহে সুনীল জৈন বলেন, ‘চুক্তির কথা অনেকটাই এগিয়েছে। আমার মনে হয় যে ইস্যুতে গিয়ে চুক্তিটি আটকে যাচ্ছে তা হল কৃষি পণ্য। কৃষি হল ভারতীয় জিডিপি এবং ভারতীয় জনগণের জীবনরেখা। কৃষি পণ্য আমদানি করা আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন। এর সাথে অনেক অসুবিধা এবং সংবেদনশীলতা জড়িত।’
এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সোমবার (মার্কিন স্থানীয় সময়) একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে এই নিয়ে বলেছেন (যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একটি বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে) এবং এটাই সত্য। আমি আমাদের বাণিজ্য সচিবের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওভাল অফিসে ছিলেন তিনি। তাঁরা এই চুক্তিগুলি চূড়ান্ত করছে এবং আপনি খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর বাণিজ্য দলের কাছ থেকে এই বিষয়ে জানতে পাবেন।’

উল্লেখ্য, বিগত দিনে ভারত-পাক সংঘর্ষের আবহে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারংবার দাবি করেছিলেন যে তিনি সংঘর্ষবিরতির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেছিলেন। এর জন্যে নাকি নাকি তিনি বাণিজ্যকে হাতিয়ার করেছিলেন। যদিও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে মোদী-ট্রাম্প সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। পরে জি৭ সম্মেলনের সময় ফোনে ট্রাম্পকে মোদী সরাসরি এই বিষয় নিয়ে কথা শুনিয়েছিলেন। আর সম্প্রতি জয়শঙ্কর নিজে আমেরিকায় বসে জানিয়ে দেন, মোদীর সঙ্গে মার্কিন কোনও নেতারই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথাই হয়নি অপারেশন সিঁদুরের সময়।