Indian Kidnapped in Sudan by RSF। অপহৃত ভারতী নাগরিক কী করছিলেন সুদানে?

Spread the love

সুদানে ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করেছে আরএসএফ নামক সশস্ত্র গোষ্ঠী। সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধের আবহে এই অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। আরএসএফ বা ব়্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স এই অপহরণ ঘটিয়েছে। এদিকে অপহৃত ভরতীয় নাগরিক ওড়িশার জগৎসিংপুর জেলার বাসিন্দা। নাম, আদর্শ বেহরা। গত ২০২২ সাল থেকে সুদানের একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতেন। সেই অপহৃত ব্যক্তির একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অপহৃত ভারতীয় নাগরিক হাতজোড় করে বসে আছেন এবং ওড়িশা সরকারের কাছে সাহায্য চাইছেন। এক আরএসএফ সদস্য আদর্শকে প্রশ্ন করছেন, ‘শাহরুখ খানকে চেনেন?’

জানা গিয়েছে, আদর্শকে সুদানের রাজধানী খারতুমের থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আল ফশির থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। সেখান থেকে আরএসএফের শক্ত ঘাঁটি নয়ালাতে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে আদর্শকে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের সংঘাত বজায় আছে। এদিকে আরএসএফের হাতে ভারতীয় নাগরিকের বন্দি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর ভারতে নিযুক্ত সুদানের রাষ্ট্রদূত মহম্মদ আবদুল্লাহ আলি আলতোম বলেছেন, সুদানের কর্তৃপক্ষ ও বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

প্রতিবেদন অনুসারে, সুদানের সরকার একদা দরফুর অঞ্চলে বিদ্রোহ থামাতে জানজাভিদ মিলিশিয়াকে ব্যবহার করছিল। পরে জানজাভিদ মিলিশিয়া থেকেই তৈরি হয় আরএসএফ। ২০০০ সালে দারফুর অঞ্চলে সংঘাতের সাথে জড়িত ছিল এই জানজাভিদ মিলিশিয়া। সেই সংঘর্ষে ৩ লক্ষ লোক নিহত হয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সরকারি কর্মকর্তা এবং মিলিশিয়া কমান্ডারদের এর জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছিল। পরে ২০১৩ সালে আরএসএফে রূপান্তরিত হয়েছিল সেই সশস্ত্র গোষ্ঠী। সেই সময় সীমান্ত সুরক্ষার জন্য সেই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছিল।

২০১৫ সালে, সুদানের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নিজেরাও ইয়েমেনে সেনা পাঠাতে শুরু করে আরএসএফ। সেই বছরই আরএসএফ একটি নিয়মিত বাহিনীর মর্যাদা পেয়েছিল। ২০১৭ সালে আরএসএফকে একটি স্বাধীন সুরক্ষা বাহিনীর মর্যাদা দেওয়ার জন্য একটি আইন পাস করা হয়েছিল। দারফুর ছাড়াও, আরএসএফকে দক্ষিণ কোর্দোফানের মতো অঞ্চলেও মোতায়েন করা হয়েছিল। সেখানে এই বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল। পরে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা দখলের লড়াইতে লিপ্ত হয় এই আরএসএফ। এই আবহে সেই দেশে জারি আছে গৃহযুদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *