কানাডার ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া এক ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ভ্যাঙ্কুভারের ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল। মৃত পড়ুয়ার নাম তানিয়া ত্যাগী। ওই ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় গিয়েছিলেন। কনস্যুলেট একটি বিবৃতি জারি করে শোক প্রকাশ করেছে এবং তানিয়ার পরিবারকে সবরকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরির ভারতীয় শিক্ষার্থী তানিয়া ত্যাগীর আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কনস্যুলেট এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে কনস্যুলেটের তরফ থেকে। তাঁর পরিবার ও নিহতদের বন্ধুদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।’
এদিকে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ না করায় তানিয়ার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা। এদিকে, এক্স-এ প্রচারিত একটি পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, তানিয়ার মারাত্মক হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। সেই পোস্টে লেখা, ‘সহায়তার আপিল। উত্তর-পূর্ব দিল্লির ৫৫৯/১১ডি, ১২ নম্বর লেন, বিজয় পার্কের ছাত্রী তানিয়া ত্যাগী পড়াশোনার জন্য কানাডায় গিয়েছিলেন। ২০২৫ সালের ১৭ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ছাত্রীর পরিবারের তরফে তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।’

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে ডোমিনিকান রিপাবলিকে ছুটি কাটাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ২০ বছরের ভারতীয় ছাত্রী সুদীক্ষা কোনাঙ্কি। যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা ও ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। তাঁকে সর্বশেষ গত ৬ মার্চ লা আলতাগ্রাসিয়া প্রদেশের রিউ পুন্টা কানা হোটেলের কাছে একটি সমুদ্র সৈকতে দেখা গিয়েছিল। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাঁর পরনে ছিল বাদামি রঙের টু-পিস বিকিনি, বড় গোলাকার কানের দুল, পায়ে নূপুর ও হাতে একাধিক ব্রেসলেট। আন্তর্জাতিক মহলে এই মামলা নিয়ে বেশ চর্চা হওয়া সত্ত্বেও এই ঘটনায় তদন্ত সেভাবে এগোয়নি।