India’s Best Student Cities Ranking। পড়াশোনার জন্য বিশ্বের সেরা শহর কোনটা? 

Spread the love

পড়ুয়াদের জন্য বিশ্বের সবথেকে সস্তা শহরের শিরোপা ছিনিয়ে নিল দিল্লি। তবে সার্বিকভাবে পড়ুয়াদের জন্য বিশ্বের সেরা শহরের তালিকার মধ্যে প্রথম একশোয় জায়গা করে নিতে পারেনি। আর সেটা সামনে এসেছে, আন্তর্জাতিক স্তরের ‘কিউএস বেস্ট স্টুডেন্ট সিটিস’ প্রকাশ করার পরে। পড়ুয়াদের জন্য বিশ্বের সেরা শহর কোনটা, সেই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে মঙ্গলবার। সেই তালিকার বিশ্বের মোট ১৫০টি শহর আছে। তাতে সার্বিকভাবে (বিভিন্ন মাপকাঠি মিলিয়ে) ভারতের চারটি শহর করে নিয়েছে – দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই। কিন্তু প্রথম একশোয় আছে শুধুমাত্র মুম্বই। বাকি তিনটি শহরের র‍্যাঙ্কিং ১০৪ থেকে ১২৮-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে যে শহরগুলিতে খরচ সবথেকে কম, সেগুলির তালিকার একবারে শীর্ষে আছে দিল্লি। অন্যান্য মাপকাঠিতে অবশ্য দিল্লি অনেকটা মার খেয়েছে।

পড়ুয়াদের জন্য ভারতের সেরা শহর

১) মুম্বই: সার্বিক র‍্যাঙ্ক ৯৮, সার্বিক স্কোর হল ৬১.৬।

২) দিল্লি: সার্বিক র‍্যাঙ্ক ১০৪, সার্বিক স্কোর হল ৬০.৫।

৩) বেঙ্গালুরু: সার্বিক র‍্যাঙ্ক ১০৮, সার্বিক স্কোর হল ৫৯.৬।

৪) চেন্নাই: সার্বিক র‍্যাঙ্ক ১২৮, সার্বিক স্কোর হল ৫৪.১।

গতবারের থেকে ভারতের চারটি শহরেরই র‍্যাঙ্কিং ভালো হয়েছে। গতবারের থেকে একধাক্কায় ১৫ ধাপ উঠে এসেছে মুম্বই। দিল্লির উত্থান হয়েছে সাত ধাপ। একলাফে ১৩০ নম্বর থেকে ১০৮-তে উঠে এসেছে বেঙ্গালুরু। আর ১২ ধাপ উঠেছে চেন্নাই। তবে বিশ্বের প্রথম ১৫০টি শহরের তালিকায় কলকাতার নাম নেই। বাংলাদেশের ঢাকার নাম অবশ্য রয়েছে প্রথম দেড়শোর মধ্যে। ঢাকার অবস্থান ১৩৬ নম্বরে।

পড়ুয়াদের জন্য বিশ্বের সেরা তিনটি শহর

লন্ডনকে সিংহাসনচ্যুত করে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে এশিয়ার একটি শহর। ‘কিউএস বেস্ট স্টুডেন্ট সিটিস’-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সিওল। দ্বিতীয় স্থানও দখল করেছে এশিয়া মহাদেশের একটি শহর।

১) সিওল (দক্ষিণ কোরিয়া), সার্বিক স্কোর ১০০।

২) টোকিয়ো (জাপান), সার্বিক স্কোর ৯৯.৯।

৩) লন্ডন (ইংল্যান্ড), সার্বিক স্কোর ৯৭.১।

কোন কোন মাপকাঠিতে সেই হিসাব করা হয়েছে?

১) বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং: ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং’-এ সংশ্লিষ্ট শহরের কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।

২) পড়ুয়াদের অনুপাত: সংশ্লিষ্ট শহরের কতজন পড়ুয়া আছেন, বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা কত, সেইসব বিষয় বিবেচনা করা হয়।

৩) পছন্দের হিসাব: সংশ্লিষ্ট শহর কতটা সুরক্ষিত, কতজন পড়ুয়া সেই শহরে পড়তে চান, দূষণের মাত্রা কত।

৪) চাকরির সুযোগ: শহরের কর্মসংস্থানের অবস্থা কেমন।

৫) খরচ: সংশ্লিষ্ট শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার খরচ, শহরে থাকার খরচ।

৬) পড়ুয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি: পড়ুয়াদের মতামত এবং পড়াশোনার পরে কতজন পড়ুয়া সেই শহরেই থাকতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *