IPL-এ নিজের অভিষেক ম্যাচে আউট হয়ে যাওয়ার পরে কাঁদছিলেন কেন?

Spread the love

রাজস্থান রয়্যালসের ১৪ বছর বয়সি বিস্ময় কিশোর বৈভব সূর্যবংশী বর্তমানে আইপিএল ২০২৫-এ দ্রুতই অন্যতম আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন। শুধু তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের জন্য নয়, বরং একটি ঘটনার জন্যও যা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে।

লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে আউট হয়ে ডাগআউটের দিকে হাঁটার সময় তাঁকে চোখ মুছতে দেখা গিয়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, এই উঠতি তারকা হয়তো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তবে এখন সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বৈভব সূর্যবংশী নিজেই।

রাজস্থান রয়্যালসের শেয়ার করা এক ভিডিয়োতে এই কিশোর ব্যাটার পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি জানান, কান্না নয়, আসলে তার চোখে ব্যথা করছিল।

কান্নার প্রসঙ্গ উঠতেই বৈভব বললেন, ‘আমি কখন কাঁদলাম?’ এরপরে হেসে ফেলেন বৈভব সূর্যবংশী। তিনি বলেন, ‘আমার চোখে ব্যথা করছিল। আউট হওয়ার পর স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েছিলাম, আর উজ্জ্বল আলোয় চোখে ঝাঁপসা লাগছিল। তাই আমি অনেকবার চোখ মিটমিট করছিলাম। মানুষ ভাবল আমি কাঁদছিলাম, কিন্তু আসলে আলোটাই তখন আমার চোখে লাগছিল।’এই তরুণ ব্যাটার ইতিমধ্যেই ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন। আইপিএলে নিজের অভিষেক হওয়া ম্যাচে বৈভব ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে। সেই ম্যাচে অভিজ্ঞ বোলারদের সে আক্রমণ করেছিল। যেমন আবেশ খান ও শার্দুল ঠাকুরদের বলে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বৈভব। এখনও পর্যন্ত ছয় ম্যাচে তিনি করেছিলেন ১৯৫ রান, গড় ৩২.৫ এবং স্ট্রাইক রেট ২১৯.১। এত কম বয়সে এমন ব্যাটিং নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ ছিল।

যদিও রাজস্থান রয়্যালস এবারের আইপিএলে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে এবং প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জয়পুরে হারের পর, তবুও সূর্যবংশীর আবির্ভাব যেন এক রূপকথার মতো আশার আলো দেখিয়েছে। তার সাহসী মানসিকতা এবং সহজাত প্রতিভা প্রমাণ করে দিয়েছে যে এই কিশোর এখানে স্থায়ী হতে এসেছে। আর আগামীর মরশুমগুলোতে এই ক্রিকেট প্রতিভার বিকাশ দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবেন ভক্তরা।

তাইতো বৈভবের সঙ্গে দেখা করার জন্য পঞ্জাব কিংসের কর্ণধার প্রীতি জিন্টাও দৈড়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ এই কিশোরের সঙ্গে কথাও বলেন প্রীতি। সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই বেশ বাইরাল হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *