পাকিস্তানকে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে ভারত। পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিয়ে ভারতকে ভয় দেখাতে চেষ্টা করলেও ভারতের প্রত্যাঘাত সামলাতে গিয়ে এবার খেই হারিয়ে ফেলছে তাঁরা। এদিন সকাল থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরেই বিস্ফোরণ ঘটাল ভারত। পাকিস্তানের তরফে এদিন কাশ্মীরের পুঁচ সেক্টরে হামলা চালানো হয় এবং ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন।
এই আবহেই বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটল আইপিএলের আরেকটি ম্যাচে। রাজস্থানের ঘরের মাঠ সাওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে এবার বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটল। ১৬ মে এই মাঠেই পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ আয়োজন করার কথা রাজস্থান রয়্যালস দলের। তাঁর আগেই এমন হালমার হুমকিতে সেখান থেকে ম্যাচ সরালেও সরানো হতে পারে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে।
অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ভারতের বিভিন্ন আইপিএলের ভেনুতেই একই ধরণেই উড়ো মেল পাঠানো হয়েছে। জয়পুরের স্টেডিয়ামে এদিন সকাল ৯.১৩ নাগাদ একটি মেল ইমেল আসে, এরপরই বিষয়টি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় পুলিশকে, এরপর সেখানে এসে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড। সেই উড়ো ইমেলে লেখা হয়, ‘অপারেশন সিঁদুরে তোমাদের সাফল্যের পাল্টা হিসেবে আমরা একটা বোম্ব ব্লাস্ট করব তোমাদের স্টেডিয়ামে, যদিও সবাইকে বাঁচাতে পারো, তাহলে বাঁচিয়ে নাও ’।

এই ইমেল আসার পরই সেই স্টেডিয়াম থেকে সবাইকে বের করে দেওয়া হয়। রাজস্থান স্পোর্টস কাউন্সিলের সভাপতি নিরক পবন জানান, ‘আমরা ইমেলের মাধ্যমে একটা বোমাতঙ্কের হুমকি পেয়েছি। পুলিশ কমিশনারকে মেলটি আমরা সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের পাশাপাশি চিরুনি তল্লাশি চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামে দল পাঠানো হয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে ’।
একদিন আগেই ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের IPL 2025-র ম্যাচেও এমনই আতঙ্ক তৈরি করার জন্য উড়ো মেল পাঠানো হয়েছিল। এরপর বিষয়টি পুলিশের তৎপরতায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষ হয় কোনওরকম বাড়তি উত্তেজনা ছাড়াই।