ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে তেল শোধনাগার ও তেলের ডিপো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র তেহরানের একটি নির্ধারিত এলাকা খালি করার সতর্কতা জারি করেছিলেন। এর পরপরই এই হামলা চালানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গেছে, ইরানের রাজধানীর উত্তর-পূর্বে তাজরিশের নিকটবর্তী এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে ইরান ইজরায়েলের দিকে প্রায় ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এই আবহে তেল আবিবেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইজরায়েল ও ইরান উভয়ই ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা একে অপরের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এই আবহে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ট্রাম্প মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা দলের সাথেও এই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই আবহে মনে করা হচ্ছে এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রও। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠক শেষে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপাতত’ ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যার কোনও ইচ্ছা তাদের নেই। তাঁর কথায়, ‘আমরা জানি ইরানের তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন। আমরা তাকে হত্যা করব না, অন্তত আপাতত নয়… তবে আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে আসছে।’