IRS Officer beaten by Joint Commissioner। ডেপুটি কমিশনারকে মেরে মুখ ফাটালেন যুগ্ম কমিশনার

Spread the love

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লখনউয়ের আয়কর অফিসে আইআরএস অফিসারের ডেপুটি কমিশনার গৌরব গর্গের উপর হামলা চালানো হয়। সেই হামলার নেপথ্যে বাইরের কেউ নয়, বরং অফিসেরই এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন। এক গ্লাস জল ও পেপার ওয়েটের আঘাতে গৌবের মাথায় ও মুখে আঘাত লাগে। গোলমালের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন অফিসে উপস্থিত কর্মী ও আধিকারিকরা।

ঘটনাস্থলে অফিসের অন্যান্যরা পৌঁছে গৌরবের ওপর হামলা থামান। এর পর আয়কর বিভাগের ডেপুটি কমিশনারকে ঘর থেকে বের করে হজরতগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে হামলার অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে, তিনি হলেন যুগ্ম কমিশনার পর্যায়ের এক আধিকারিক। এদিকে মারধরের শিকার আইআরএস অফিসারের স্ত্রী আইপিএস অফিসার রবিনা ত্যাগী লখনউয়ের ডিসিপি ইন্টেলিজেন্স পদে কর্মরত।

গৌরব গর্গ ২০১৬ ব্যাচের আইআরএস অফিসার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়কর ভবনের ষষ্ঠ তলায় সিনিয়র অফিসারের ঘরে বসেছিলেন ২০১৪ ব্যাচের আইআরএস অফিসার গৌরব গর্গ ও যুগ্ম কমিশনার। এই সময় আরও একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সূত্রের খবর, একটি আরটিআই নিয়ে গৌরব গর্গের সঙ্গে যুগ্ম কমিশনারের বচসা হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হস্তক্ষেপ করেছিলেন কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি আরও বেড়েছে।

দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, যুগ্ম কমিশনার জল ভর্তি গ্লাস ছুড়ে মারেন গৌরবকে। ধস্তাধস্তির সময় তাঁর আংটি গৌরব গর্গের মুখে লাগে। হট্টগোল পড়ে যায় অফিসে। অন্যান্য কর্মীরাও পৌঁছে যান সেখানে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বিবাদ কীভাবে প্রশমিত করা যায় তা কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তবে পরে এই মারামারি আটকানো হয়। গৌরবের মুখে, মাথায় ও হাতে চোট লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হজরতগঞ্জ থানা পুলিশকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

আয়কর সূত্রের খবর, ডেপুটি কমিশনার গৌরব গর্গ ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন। কিছুদিন আগে ওই সিনিয়র অফিসারকে উত্তরাখণ্ডের কাশীপুরে বদলি করা হয়। তদন্তের খাতিরে বৃহস্পতিবার আয়কর দফতরে আসেন যুগ্ম কমিশনার। সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সন্দেহ করেছিলেন যে গৌরব গর্গের কারণে তাকে বদলি করা হয়েছিল।

ডিসিপি (সেন্ট্রাল) আশিস শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, আয়কর ভবনে আইআরএস অফিসার গৌরব গর্গকে হেনস্থা করা হয়। তাকে সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিতে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবও গোটা বিষয়টি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর কথায়, একজন আইপিএস অফিসারের স্বামীর সঙ্গে কেন এমন ঘটনা ঘটল এবং কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তা তদন্ত করে দেখা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *