পাকিস্তানে বিয়ে করতে চেয়েছিল জ্যোতি মালহোত্রা? সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ইন্টার-সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স) লোক আলি হাসানের সঙ্গে জ্যোতির একাধিক কথোপকথনের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেরকম একটি মেসেজে ৩৩ বছরের লিখেছিল, ‘আমায় পাকিস্তানে বিয়ে করিয়ে দাও।’
তারইমধ্যে হরিয়ানা পুুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারির পরে জ্যোতিকে জেরা করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর অফিসাররা। সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দারাও জেরা চালাচ্ছেন। জ্যোতির আর্থিক লেনদেন এবং ভ্রমণের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন কোন দেশে গিয়েছিল জ্যোতি, সেগুলিকে পরপর ঘটনা হিসেবে সাজিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে পুলিশ জানিয়েছে, জ্যোতির যে আয়ের উৎস দেখানো হয়েছে, তাতে একের পর এক বিদেশ সফর সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কোথা থেকে জ্যোতি টাকা পেত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জ্যোতির ল্যাপটপের ফরেন্সিক পরীক্ষাও চলছে। সেইসঙ্গে জ্যোতির সঙ্গে যোগ থাকা লোকজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে হরিয়ানা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জ্যোতির সাংকেতিক কথাবার্তার বিষয়টিও সামনে এসেছে। পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আপাতত জ্যোতির চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দুবাই থেকে লেনদেনেরও প্রমাণ মিলেছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
তবে জ্যোতি ছাড়াও গত কয়েকদিনে পাকিস্তানি চর সন্দেহে একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হরিয়ানা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন যে ভারতের সংবেদনশীল তথ্য পাচারের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে একাধিক ইউটউব চ্যানেলের উপরেও নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানা পুলিশের ওই শীর্ষ আধিকারিক।