শনিবার রাতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের পালটা হামলায় ইরানের দুটি জ্বালানি ডিপোতে আগুন ধরে গিয়েছে। ইরানের সামরিক ও পরমাণু অবকাঠামোতে দু’দিন আগেই হামলা শুরু করেছিল ইজরায়েল। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বেড়েই চলেছে। এই আবহে দ্বিতীয় দিনের মতো দুই দেশ একে অপরের দিকে মিসাইল ছুড়ল।
ইরানের সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ইজায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন ‘অনেস্ট প্রমিজ থ্রি’ চালু করেছে। এদিকে ইজরায়েলি ড্রোনের কারণে ইরানের শাহারান প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট ও আরও একটি জ্বালানি ডিপোতে ‘শক্তিশালী বিস্ফোরণ’ ঘটেছে। এদিকে ইজরায়েল জানিয়েছে,ইরান আবাসিক ভবনগুলিতে আঘাত করাছে। এদিকে ইরান আবার দাবি করেছে যে তারা ইজরায়েলের মূল সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। যদিও ইজরায়েল এই প্রতিবেদনগুলি নিশ্চিত করেনি। এক ঘণ্টার দীর্ঘ ওই হামলার পর ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ জনগণকে জানায়, তারা আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করতে পারে এবং বিমান হামলার সাইরেন শিথিল করা হয়। এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আর আলোচনায় বসছে না ইরান।

মধ্যরাতের কিছু আগে তেল আবিবসহ ইজরায়েলের বেশ কিছু অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। এরপর ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন উভয়ই ঘোষণা করে যে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র দেগেছিল ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে। এরপর তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিশ্চিত করে। পরে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলে, তারা তেহরানে ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে।ইজরায়েল জানিয়েছে, শনিবার রাতে প্রথম হামলায় তিনজন নিহত ও ১৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আমাদের বাহিনীর দাপট দেখাবে। এর ফলে ইরানের যা হাল হবে, তা তারা কল্পনাও করতে পারছে না। ইজরায়েল এখনও পর্যন্ত যা করেছে, তা তো কিছুই না।’