উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগের তিন দিনের মাথায় তাঁর সচিবালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। সঙ্গে এও দাবি করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে কর্মরত বহু সরকারি আধিকারিককে তাঁদের মূল ক্যাডারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল আবাসের কোনও কক্ষ সিল করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, তাঁর বাসভবনে খুব কম সংখ্যক সরকারি আধিকারিক অবশিষ্ট রয়েছেন এবং তাঁরাও তাঁদের মূল ক্যাডারে ফিরে যাওয়ার নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। নবনির্মিত ভিপি বাসস্থানটিতে সচিবালয়ের জন্য একটি পৃথক উইং রয়েছে। সেখান থেকে একের পর এক অফিসারের বদলি হওয়ায় সেটি এখন এমিতেই তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বিতীয় এক আধিকারিক বলেন, ‘দুই আন্ডার সেক্রেটারির হাতে চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। ধনখড়ের সচিব, স্পেশাল ডিউটি অফিসার এবং প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি (তিনজনই আইএএস অফিসার) পদত্যাগ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, কারণ ভিপি অফিসে তাঁদের নিয়োগ ধনখড়ের আমলেই হয়েছিল। সাধারণত এই সব ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হয় তাঁদের কাজ গুটিয়ে তাঁদের মূল ক্যাডারের কাছে রিপোর্ট করার জন্য। কিছু আধিকারিক এখনও রয়েছেন, তবে শীঘ্রই তাঁরাও চলে যাবেন।’

প্রাক্তন ভিপির এখন পাঁচজন ব্যক্তিগত কর্মী থাকার অনুমতি রয়েছে, যাদের বেতন সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হয়। ভারতের যে কোনও জায়গায় টাইপ এইট বাংলো বা তার সমতুল্য বাসভবন বরাদ্দ করা হবে ধনখড়ের জন্য। ধনখড়ের কাছে এক মাস সময় রয়েছে তাঁর জিনিসপত্র গুছিয়ে চলে যাওয়ার জন্য।
সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করেন প্রাক্তন ভিপি। উপরাষ্ট্রপতির জন্য বরাদ্দ বর্তমান বাসস্থানটি ধনখড়ের আমলেই চালু হয়েছিল। এই সরকারি বাসভবনের প্রথম বাসিন্দা ছিলেন জগদীপ ধনখড়ই।