সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আকস্মিক পদত্যাগের কিছুক্ষণ আগেই সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘অনির্ধারিত সফর’ করেছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন জগদীপ ধনখড়। এর আধা ঘণ্টা পর তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র প্রকাশ করেন এক্সে।
সেই চিঠিতে ধনখড় লিখেছিলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দিতে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে আমি সংবিধানের ৬৭ (এ) অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতের উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করছি, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ ৭৪ বছর বয়সি ধনখড় ২০২২ সালের অগস্টে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর মেয়াদ ২০২৭ সালের অগস্টে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধনখড়ের সুস্বাস্থ্য কামনা করে ‘এক্স’ পোস্ট করেন এবং তাঁকে ‘কৃষকের ছেলে’ এবং ‘অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা’ হিসাবে বর্ণনা করেন। তবে তাঁর সেই পোস্টে ‘আবেগের অভাব’ অনেকেরই নজরে পড়েছে। এই আবহে বিরোধীরা এই শীতল বার্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। এরই মধ্যে আবার ধনখড়ের পদত্যাগের নানা কারণ নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জগদীপ ধনখড় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় খুব একটা পরিচিত নাম ছিলেন না। তবে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এবং পরে উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁকে দেওয়া দায়িত্বে তিনি নিজেকে লাইমলাইটে রেখেছিলেন। তবে সম্প্রতি নাকি তাঁর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, তিনি বিরোধীদের ‘বন্ধু’ হয়ে উঠছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে