বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ষষ্ঠী তিথি পড়ে গিয়েছে। শনিবার (৩১ মে বা ১৬ জ্যৈষ্ঠ) রাত ৮ টা ১৭ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠী তিথি। প্রায় ২৪ ঘণ্টার মতো ষষ্ঠী তিথি থাকবে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকায় বলা হয়েছে যে রবিবার (১ জুন তথা ১৭ জ্যৈষ্ঠ) রাত ৮ টা পর্যন্ত থাকছে ষষ্ঠী তিথি। যে তিথিতে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়ে থাকে।
তবে গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী ষষ্ঠী তিথি শুরু হবে মধ্যরাত পেরিয়ে। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ১৬ জ্যৈষ্ঠ রাত ১২ টা ৩৪ মিনিট ৫ সেকেন্ড থেকে ষষ্ঠী তিথি পড়ছে (ইংরেজি মতে রবিবার তথা ১ জুন)। আর ষষ্ঠী তিথি থাকছে ১৭ জ্যৈষ্ঠ রাত ১২ টা ৮ মিনিট ১৩ সেকেন্ড পর্যন্ত। ইংরেজি মতে ষষ্ঠী তিথি ছাড়ছে সোমবার (২ জুন)।
রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার (কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া) হাতেগোনা কয়েকটি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কোনও জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়নি।
জামাইষষ্ঠীর দিনে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের একটি বা দুটি অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় সেরকম সম্ভাবনা নেই।

এমনিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, সেটা সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দেওয়া হয়। অর্থাৎ রবিবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক জামাইষষ্ঠীর ভোর বা সকালের দিকে কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তারপর অবশ্য বৃষ্টির দাপট কমে যাবে। কারণ শনিবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে রবিবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যে পূর্বাভাস আছে, তাতে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে কোনও কোনও জায়গায় ঝড়ও উঠতে পারে। আবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। উত্তরবঙ্গের বাকটি তিনটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
তবে তারইমধ্যে রবিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে গরম বাড়বে। অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির ফলে যে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলছিল, এবার সেটা উধাও হয়ে যাবে। কারণ রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে।