Karnataka Ex DGP Murder Update। ‘ঘি, লেবু দিয়ে কোনওমতে…’! হোয়াটস অ্যাপে কী লিখতেন খুন হওয়া প্রাক্তন ডিজিপির স্ত্রী?

Spread the love

কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজিপি ওমপ্রকাশ। তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। তাঁর দেহ মিলেছিল বাড়ি থেকে। প্রাক্তন ওই আইপিএসের মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে স্ত্রীর দাবি তাকে বিষ প্রয়োগ করে আটকে রাখা হয়েছিল বাড়িতে। এমনকী প্রাক্তন ডিজির লোকজন তাঁর উপর সবসময় নজর রাখতেন।

ওম প্রকাশের স্ত্রী পল্লবী একাধিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে কিছু মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। এনডিটিভি সেই বার্তা দেখেছে। এদিকে তদন্তে উঠে এসেছে পল্লবী স্কিজোফ্রেনিয়াতে ভুগছেন। মানসিক কিছু সমস্যা রয়েছে। এমনকী তাঁর পুত্রও জানিয়েছেন মা অবসাদে ভুগছেন। সেকারণে এই মেসেজগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা ঠিক হবে না।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে আইপিএস অফিসারদের গ্রুপে তেমনই একটি মেসেজ করা হয়েছিল। ওই মহিলা তাঁর স্বামীর রিভলবারটি বাজেয়াপ্ত করার জন্য় দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, আমাকে বন্দি করা হয়েছে। আমি যেখানে যাই ওমপ্রকাশের লোকজন নজর রাখে।

এমনকী তিনি লিখেছিলেন আমি ওমপ্রকাশকে বার বার বলেছি আলাদা থাকো। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আমি যখনই কোথাও যাই সেই জলে খাবারে বিষ মেশানো শুরু হয়। এমনকী তার জেরে তাঁর মেয়েকেও ভুগতে হয় বলে তাঁর দাবি।

এমনকী পল্লবী দাবি করেছিলেন কিছু যদি হয় তার জন্য দায়ী থাকবেন ওমপ্রকাশ। এমনকী ঘি আর লেবু দিয়ে তিনি বিষমুক্তির চেষ্টাও করেছিলেন। তিনি লিখেছেন, ভগবানের অশেষ কৃপা। প্রতিবার আমরা বিষমুক্ত হতে পেরেছি। এমনকী বর্তমান ডিজিপি যাতে তাঁর জন্য অপর একটি ঘরের ব্যবস্থা করেন সেটাও বলা হয়।

পল্লবী লিখেছিলেন, একদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। একজন ভ্যান থেকে পাউডার নিয়ে ছড়িয়ে দিল। কিছু বুঝতে পারছিলাম না। শরীরের উপরের অংশ একেবারে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছিল।

তিনি লিখেছিলেন এই যে অন্ধকারময় জগৎ এটা স্বাভাবিক পৃথিবী থেকে একেবারে আলাদা।

সারা শরীরে একাধিক আঘাতের দাগ। মিলেছিল কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজির দেহ। পল্লবীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। পল্লবী এর আগেও হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। পল্লবী কয়েক মাস আগে পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে পল্লবীর সন্তানের দাবি, মা এর আগেও বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। এরপর বোনের বাড়িতে চলে যায়। ছেলের দাবি, আমার মা পল্লবী বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিত। বাবা তার বোনের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু আমার ছোট বোন চাপ দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তিনি জানিয়েছেন মা ও বোন দুজনেই অবসাদে ভুগছিল। আমি সন্দেহ করছি দুজনেই রয়েছে এই খুনের ঘটনার পেছনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *