কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও একজনকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কসবা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, কলেজে গার্ডের ঘরেই নির্যাতিতার ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছিল কয়েক ঘণ্টা ধরে। তবে এই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীও সরাসরি জড়িত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে বছর পঞ্চান্নর ওই নিরাপত্তারক্ষীকে। এর আগে নির্যাতিতা নিজের অভিযোগপত্রে দাবি করেন, ইউনিয়ন রুম থেকে তিনি যখন পালানোর চেষ্টা করেন, তখন কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলেজের রক্ষীর কাছে তিনি সাহায্য চাইলে তিনিও নাকি সাহায্য করতে পারেননি। সেই গার্ডই এই ঘটনার সাক্ষী। পরে নির্যাতিতাকে গার্ডস রুমে নিয়ে যায় এম এবং পি। এদিকে তিন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, জেব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এরপর দীর্ঘসময় ধরে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় বলে তিনি দাবি করেছেন অভিযোগপত্রে। একটা সময় নাকি নির্যাতিতা প্রতিরোধ বন্ধ করে দেন। ১০টা ৫০ মিনিটে যখন ‘জে’ চলে যাচ্ছে, তখনও নাকি সে হুমকি দিয়ে যায় যাতে কেউ ‘বিষয়টা’ জানতে না পারে। তা সত্ত্বেও সাহস করে সেই নির্যাতিতা অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

এদিকে কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই ছাত্রীর গলায় কামড়ের দাগ রয়েছে। এদিকে যৌনাঙ্গ ক্ষত রয়েছে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গায় মারধরের দাগও দেখা গিয়েছে। এই আবহে মেডিক্যাল রিপোর্টে স্পষ্ট যে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন সেই অভিযোগকারী তরুণী।পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার তালবাগান ক্রসিংয়ের কাছ থেকে মিশ্র ও আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়, এবং সেই রাতেই প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।