কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই ছাত্রীর গলায় কামড়ের দাগ রয়েছে। এদিকে যৌনাঙ্গ ক্ষত রয়েছে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গায় মারধরের দাগও দেখা গিয়েছে। এই আবহে মেডিক্যাল রিপোর্টে স্পষ্ট যে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন সেই অভিযোগকারী তরুণী। এদিকে ঘটনায় তিন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, জেব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছে ইতিমধ্যেই।
২৫ জুন এই ঘটনার পর নির্যাতিতা তরুণী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় পার্ক সার্কাসের কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। এফআইআরে নাকি আবার সেই অভিযুক্তদের পুরো নাম লিখতে দেয়নি পুলিশ। অভিযোগ, নির্যাতিতার লেখার ওপর হোয়াইটনার চালানো হয়। তিন অভিযুক্তের নাম বলা হয়েছে – এম, পি, জে।
অভিযোগপত্রে সেই ছাত্রী লেখেন, ‘ইউনিয়ন রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল এম এবং পি। সেই সময় ‘জে’ তাঁকে ওয়াশরুমের দিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল।’ ‘জে’ নাকি সেই ছাত্রীকে বলেছিল তাকে বিয়ে করতে। তাহলে নাকি টিএমসিপির পদ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই অভিযুক্ত। এই ‘জে’ হল কলেজের অস্থায়ী কর্মী তথা কলেজেরই প্রাক্তনী। এদিকে নির্যাতিতা সেই প্রস্তাব খারিজ করার পরই শুরু হয় অত্যাচার।অভিযোগপত্রে সেই ছাত্রী লেখেন, ‘ইউনিয়ন রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল এম এবং পি। সেই সময় ‘জে’ তাঁকে ওয়াশরুমের দিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল।’ ‘জে’ নাকি সেই ছাত্রীকে বলেছিল তাকে বিয়ে করতে। তাহলে নাকি টিএমসিপির পদ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই অভিযুক্ত। এই ‘জে’ হল কলেজের অস্থায়ী কর্মী তথা কলেজেরই প্রাক্তনী। এদিকে নির্যাতিতা সেই প্রস্তাব খারিজ করার পরই শুরু হয় অত্যাচার।

নির্যাতিতা নিজের অভিযোগপত্রে দাবি করেন, ইউনিয়ন রুম থেকে তিনি যখন পালানোর চেষ্টা করেন, তখন কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলেজের রক্ষীর কাছে তিনি সাহায্য চাইলে তিনিও নাকি সাহায্য করেননি। পরে নির্যাতিতাকে গার্ডস রুমে নিয়ে যায় এম এবং পি। এরপর দীর্ঘসময় ধরে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় বলে তিনি দাবি করেছেন অভিযোগপত্রে। একটা সময় নাকি নির্যাতিতা প্রতিরোধ বন্ধ করে দেন। ১০টা ৫০ মিনিটে যখন ‘জে’ চলে যাচ্ছে, তখনও নাকি সে হুমকি দিয়ে যায় যাতে কেউ ‘বিষয়টা’ জানতে না পারে।