Kasba incident Arrested Manojit। কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত মনোজিতের নামে বিস্ফোরক বিটি কলেজের প্রিন্সিপাল

Spread the love

কসবা গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত মনোজিৎ মিশ্রকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন বিটি কলেজের প্রিন্সিপাল মাকসুদা খাতুন। তিনি দাবি করেন, ৩-৪ মাস আগে মহিলা নিয়ে বিটি কলেজের ক্যাম্পাসে ঢোকর চেষ্টা করেছিল এই মনোজিৎ। এমনকী কসবা কাণ্ডের একদিন আগেও নাকি বিটি কলেজের ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করেছিল এই টিএমসিপি নেতা। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মনোজিৎ মিশ্র সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কসবা ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে একধিক প্রমাণ। যে কমন রুমে সেই নির্যাতিতা মারধরের অভিযোগ করেছিলেন, সেখানে রক্তের দাগ পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে কলেজ থেকে হকিস্টিকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ ছিল, সেই হকিস্টিক দিয়ে নির্যাতিতাকে মারধর করা হয়েছিল। এদিকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে কলেজের সিসিটিভির হার্ডডিস্ক। পুলিশ জানিয়েছে, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ২৪ বছরের এক ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ জুন বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজে কলেজ চত্বরের চারপাশের গতিবিধি ধরা পড়েছে।

ফুটেজে দেখা যায়, নির্যাতিতাকে জোর করে গার্ডের ঘরে ঢোকানো হয়, যেখানে তিন অভিযুক্ত তাকে যৌন নির্যাতন করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মেয়েটির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাতে তিন অভিযুক্ত, নিরাপত্তারক্ষী ও নির্যাতিতার গতিবিধি দেখা যাচ্ছে। মূল অভিযুক্তের মোবাইল ফোন থেকে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপও উদ্ধার করা হয়েছে। ভিডিয়োটির ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠিয়েছিল পুলিশ। এছাড়া আরও এক অভিযুক্তও নাকি ঘটনাক ভিডিয়ো করেছিল নিজের ফোনে। জেরায় সে কথা উঠে এসেছে।

এদিকে কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই ছাত্রীর গলায় কামড়ের দাগ রয়েছে। এদিকে যৌনাঙ্গ ক্ষত রয়েছে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গায় মারধরের দাগও দেখা গিয়েছে। এই আবহে মেডিক্যাল রিপোর্ট থেকে এটাই মনে করা হচ্ছে যে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন সেই অভিযোগকারী তরুণী। যদিও অভিযুক্ত মনোজিতের দাবি, ছাত্রীর সম্মতিতেই সব হয়েছিল। তাই নাকি তার গলায় ‘লাভবাইট’ ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *