Kasba Rape KP Probe Update। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের পরদিন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালকে ফোন মনোজিতের

Spread the love

কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের পরের দিনই সকালে আইন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডঃ নয়না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনোজিতের কথোপকথনের প্রমাণ পেয়েছে কলকাতা পুলিশের নয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। এমনই দাবি করা হল রিপোর্টে। তদন্তকারীরা তিন অভিযুক্তেরই মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস রেকর্ড (সিডিআর) ক্রস চেক করছে।

এই বিষয়ে বার্তাসংস্থা পিটিআইকে এক তদন্তকারী নাকি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই ঘটনার পরদিন সকালে মনোজিতের নম্বর থেকে কলেজের ভিপিকে ফোন করা হয়। তাঁদের কথোপকথনের খুঁটিনাটি জানতে গতকাল থেকে দু’বার ভিপিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।’ পাশাপাশি, পুলিশ একটি ওষুধের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজও উদ্ধার করেছে। সেখানে অভিযুক্ত জাইব আহমেদকে দেখা গিয়েছে। সে সেখানে ইনহেলার কিনতে গিয়েছিল। 

সেই ফার্মেসির মালিককে জেরা করেছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারদের নাকি সেই দোকানের মালিক বলে, জাইব অর্ধেক টাকা নগদে এবং বাকিটা ইউপিআইয়ের মাধ্যমে দিতে চেয়েছিল। আমরা তাতে রাজি হইনি। এরপরে অভিযুক্ত অনলাইনে পুরো টাকা দিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, ২৪ বছর বয়সি ওই ছাত্রীও তাঁর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছিলেন যে জাইব ইনহেলার নিয়ে এসেছিল।

সেই ফার্মেসির মালিককে জেরা করেছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারদের নাকি সেই দোকানের মালিক বলে, জাইব অর্ধেক টাকা নগদে এবং বাকিটা ইউপিআইয়ের মাধ্যমে দিতে চেয়েছিল। আমরা তাতে রাজি হইনি। এরপরে অভিযুক্ত অনলাইনে পুরো টাকা দিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, ২৪ বছর বয়সি ওই ছাত্রীও তাঁর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছিলেন যে জাইব ইনহেলার নিয়ে এসেছিল।

এদিকে সেদিন কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে যে ১৬ জনকে দেখা গিয়েছে, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তাদের মধ্যে থেকে এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তিনি বলেন, ‘২৫ জুন তারা সেখানে কিছু দেখেছেন বা শুনেছেন কিনা তা জানার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট, মেডিক্যাল টেস্ট এবং অপরাধের ঘটনাস্থল সহ বেশ কয়েকটি প্রমাণ নির্যাতিতার অভিযোগকে সমর্থন করেছে।’ 

মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে ধৃত ধৃতদের ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তকারী অফিসাররা অপরাধের অনেক প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর এবং তাই আমি এবং এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারব না। তবে এফআইআর দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *