KKR-এর বিশ্বরেকর্ড ভেঙে PSL চ্যাম্পিয়ন শাহিন আফ্রিদির লাহোর

Spread the love

রবিবার গদ্দাফি স্টেডিয়ামে টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে পিএসএল চ্যাম্পিয়ন হয় লাহোর কালান্দার্স। শাহিন আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন লাহোর খেতাবি লড়াইয়ে পরাজিত করে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে। শাহিনরা এক্ষেত্রে ভেঙে দেন কেকেআরের দুর্দান্ত এক টি-২০ নজির।

পিএসএল ফাইনালের ফলাফল

রবিবার পিএসএল ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রান তোলে। হাসান নওয়াজ ৪৩ বলে ৭৬ রান করেন। তিনি ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। লাহোরের ক্যাপ্টেন শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে লাহোর কালান্দার্স ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩১ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল পেরেরা। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন সিকন্দর রাজা।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাকিস্তান সুপার লিগের ইতিহাসে লাহোর কালান্দার্সের এটি সব থেকে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে একবার মাত্র ২০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে লাহোর। সেবার মুলতান সুলতানসের ৬ উইকেটে ২০০ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ২০৪ রান তুলে জয় পায় কালান্দার্স। রবিবার পিএসএল ২০২৫-এর ফাইনালে কোয়েট্টার ৯ উইকেটে ২০১ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ২০৪ রান তুলে চ্যাম্পিয়ন হন শাহিনরা।

কেকেআরের বিশ্বরেকর্ড ভাঙল লাহোর কালান্দার্স

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোনও টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ে লাহোর কালান্দার্স। এই প্রথম কোনও দল কোনও টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রতিপক্ষের ২০০ বা তারও বেশি রানের টার্গেট তাড়া করে ম্যাচ জেতে।

এতদিন এই রেকর্ড ছিল কেকেআরের দখলে। কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০১৪ আইপিএলের ফাইনালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ৪ উইকেটে ১৯৯ রানের জবাবে ৭ উইকেটে ২০০ রান তুলে ম্যাচ জেতে। সুতরাং, এবার কোয়েট্টার ৯ উইকেটে ২০১ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ২০৪ রান তুলে লাহোর ভেঙে দেয় কেকেআরের রেকর্ড।

পিএসএল ২০২৫-এর প্রাইজ মানি ও পুরস্কার তালিকা

১. চ্যাম্পিয়ন- লাহোর কালান্দার্স (৫ লক্ষ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা)।

২. রানার্স- কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স (২ লক্ষ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা)।

৩. টুর্নামেন্টের সেরা অল-রাউন্ডার- সিকন্দর রাজা।

৪. টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডার- আবদুল সামাদ।

৫. টুর্নামেন্টের সেরা বোলার- শাহিন আফ্রিদি।

৬. টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার- হাসান নওয়াজ।

৭. সব থেকে বেশি রান- সাহেবজাদা ফারহান।

৮. সব থেকে বেশি উইকেট- শাহিন আফ্রিদি।

৯. ফাইনালের সেরা ক্যাচ- আবিষ্কা ফার্নান্ডো।

১০. টুর্নামেন্টের সেরা উঠতি ক্রিকেটার- মহম্মদ নইম।

১১. টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার- হাসান নওয়াজ।

১২. টুর্নামেন্টের সেরা আম্পায়ার- আসিফ ইয়াকুব।

১৩. ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার- কুশল পেরেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *