Kolkata-Sikkim Flight। সিকিম থেকে দেশের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ

Spread the love

সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন শহরে উড়ান পরিষেবা চালু করতে চায় ইন্ডিগো বিমান সংস্থা। সামনেই পুজো আসছে। আর পুজো মানেই বহু পর্যটকের কাছে গন্তব্য হল সিকিম। সেই সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে এবার দেশের একাধিক বিমানবন্দর পর্যন্ত উড়ান চালানোর উদ্যোগ। অক্টোবর থেকে পর্যটন মরশুম শুরু হচ্ছে। তার আগেই এই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

পাকিয়ং থেকে দিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, মুম্বই থেকে কলকাতা হয়ে বারাণসী বিমান চালানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সামনেই পুজোর মরসুম। তার আগে অনেকেই সিকিম যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সেক্ষেত্রে নতুন এই রুটগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, বর্তমানে পাকিয়ং থেকে কলকাতা ও দিল্লির রুটে বিমান চালায় অন্য একটি বিমান সংস্থা। অন্যদিকে নেপাল থেকে পাকিয়ং পর্যন্ত বিমান চালানোর ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। এক্ষেত্রে নেপাল ভিত্তিক একটি সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।

এদিকে সিকিমের সঙ্গে উড়ান যোগাযোগ ভারতের শহরগুলির সঙ্গে যত বৃদ্ধি পাবে ততই সিকিমের পর্যটনক্ষেত্রের বিরাট উন্নতি হবে। কারণ সড়ক পথে সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল সড়কপথ মাঝেমধ্যে বেহাল থাকে। পাহাড়ি রাস্তায় রাস্তা ভালো না থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে যদি বিমানের ব্যবস্থা থাকে তবে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক সিকিম বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হবেন।

এদিকে এবার সবথেকে খুশির খবর হল শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক আপাতত খুলে দেওয়া হয়েছে।

অর্থাৎ পুজোর আগেই খুলে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পরিস্থিতি যদি আর বিগড়ে না যায় তাহলে এবারের পুজোতে সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে সেভাবে আর বাধায় পড়তে হবে না পর্যটকদের। কিন্তু পাহাড়ের আবহাওয়া বড় খামখেয়ালি। পুজোর আগে যদি ফের বিপর্যয় নামে তবে এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক আদৌ খোলা থাকবে কি না তানিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।

তবে এবছর বর্ষা শুরু হওয়ার পরেই টানা বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দিনের পর দিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিরাট ধস নামে। প্রচুর পর্যটককে কোনওরকমে সমতলে নামিয়ে আনা হয়। প্রচুর ঘুরপথে তাঁদের নামিয়ে আনা হয়েছিল। তবে আপাতত খোলা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যার জেরে কালিম্পং যাওয়ার পরিকল্পনা যাদের রয়েছে তাদেরও সুবিধা হবে। আপাতত ছোট গাড়ি যেতে পারছে সেই রাস্তা দিয়ে। সেই সঙ্গেই ৩২ আসনের যে বাসগুলি রয়েছে সেগুলির যাতায়াতের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বার বার দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তর সিকিম। বার বার বন্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মাথায় হাত পড়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তবে আশার কথা যে পুজোর আগে খুলছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এদিকে পুজোর অনেক দিন আগে থেকেই সিকিমের বিভিন্ন হোটেলে আগাম বুকিং হয়ে যায়। আবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকলে যখন পর্যটকরা যেতে পারেন না তখন তারা আবার পরিকল্পনা বদলে উত্তরবঙ্গের অন্যত্র চলে যান। সিকিমে হোটেল বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *