Mamata Banerjee on Bangladesh: ‘বাংলাদেশের অসহায় মানুষ আমাদের দরজায় কড়া নাড়লে আশ্রয় দেব’

Spread the love

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন জারি রয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫১ জন। এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেই বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। প্রথমে ‘কিছু বলবেন না’ বলেও বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বললেন এপার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)।

আজ তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে মমতা বললেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তাহলে তার পাশের এলাকাকে সেই বিষয়টা সম্মান জানাতে হবে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। তবে তাদের প্রতি আমাদে রসহমর্মিতা রয়েছে।’

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ট্যাংরা, ভেটকি, পাবদা সহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১০০ টন মাছ রোজ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয় হাওড়ার মাছের বাজারে। তবে বিগত কয়েকদিন ধরে কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে সেই মাছ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রতি দিন কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে এপার বাংলার মাছ ব্যবসায়ীদের। বাজারে মাছের টার পড়েছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে কলকাতায় কিছু বামপন্থী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এপার বাংলার মানুষ নিজেদের মতামত জাহির করছে এই ইস্যুতে। তবে ভারত সরকার সরাসরি এই বিষয়ে কিছুই বলেনি। তারা এই গোটা ঘটনাকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে আখ্যা দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এই অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপার বাংলাতেও। দলে দলে ভারতীয় পড়ুয়ারা ওপার থেকে নিজেদের দেশে ফিরছেন। এদিকে ওদেশে অশান্তির জেরে বাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে। কয়েকদিন ধরেই পণ্যবোঝাই বহু ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে পেট্রাপোল সীমান্তে। আনাজ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পচে যাচ্ছে এর জেরে। বাংলাদেশের এই অশান্ত পরিস্থিতির জন্যে মাছ ব্যবসায়ী ছাড়াও এপারে মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ী এবং পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন। বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় ভারতের পণ্যবোঝাই ট্রাক সীমান্তে পৌঁছলেও ওপার থেকে অনলাইনে চালান পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সড়কপথে সীমান্ত পারাপারও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই আবহে আমদানিও চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। এদিকে সীমান্ত পার করা যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য পেট্রাপোলে যানবাহন থাকে। তবে সীমান্তে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় সেই যানবাহন চালকদের পকেটও ফাঁকা।

এদিকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ। তাই অনলাইনে টাকা পাঠানো বা নতুন করে মাছের অর্ডারও দিতে পারছেন না এ দেশের মাছ ব্যবসায়ীরা। গতকাল থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। তবে তার আগে পর্যন্ত দু-তিনদিন সেভাবে কোনও গাড়ি বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতেও পারেনি। এর জেরে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এপার বাংলার মাছ ব্যবসায়ীরা। এদিকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে প্রতি দিন বিপুল পরিমাণে মাছ আমদানি করা হয় পশ্চিমবঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *